দিব্যার শোকেই ম্লান হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা শেষের সেই আনন্দ

সজল মুখার্জি

বেঙ্গল টাইমসে কয়েকদিন আগেই দিব্যা ভারতীকে নিয়ে বিশেষ লেখা পড়লাম। দেখতে দেখতে তাঁর মৃত্যুর ২৫ বছর হয়ে গেল!‌ একইসঙ্গে আমাদের মাধ্যমিক দেওয়াও ২৫ বছর পেরিয়ে গেল!‌
মাধ্যমিকের আগে সবারই নানারকম পরিকল্পনা থাকে। এখানে যাব, ওখানে যাব, এই করব, সেই করব। আমাদেরও ছিল। ভেবেছিলাম, পরীক্ষার কয়েক মাস তেমন কিছুই করা হয়নি। অনেক সাধই অপূর্ণ ছিল। ভেবেছিলাম, একবার মাধ্যমিকটা শেষ হোক। তারপর তিন মাস খুব আনন্দ করব।
কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরই এল সেই মর্মান্তিক খবরটা। দিব্যা ভারতী আর নেই। কেউ বলল, আত্মহত্যা। কেউ বলল, খুন করা হয়েছে। কেউ বলল, অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল। এমন কত জল্পনাই ভেসে বেড়াতে লাগল। তখন কাগজ আসত বেলার দিকে। কাগজ এলেই ওই সংক্রান্ত খবর পড়তাম। কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেই খবরগুলো হারিয়ে গেল। কিন্তু একটা শোকের আবহ থেকেই গেল। গ্রামের দিকে তখন পাড়ায় পাড়ায় ভিডিও–‌র খুব চল। নানা জায়গায় রাতে ভিডিও চলত। সেই সময় দিব্যা ভারতীর বেশ কয়েকটি ছবি অনেকবার দেখেছিলাম। মনে হত, খুব কাছের কেউ একজন চলে গেল।

dibya2
এতবছর পর শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস্য মনে হবে। কিন্তু এটা ঘটনা, সেই সময় দিব্যা ভারতীর শোকেই অনেকগুলো দিন পেরিয়ে গিয়েছিল। মাধ্যমিকের পর যা যা করব বলে ভেবেছিলাম, তার অনেকগুলোই করা হয়নি। দেখতে দেখতে কেমন পঁচিশ বছর পেরিয়ে গেল। অথচ, মনে হয়, এই তো সেদিন।

(‌মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ। পরীক্ষার্থীদের চুটিয়ে আনন্দ করার সময়। আমাদের অনেকের জীবনেই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই সময়ের অনেক স্মৃতি এখনও মাঝে মাঝে ভিড় করে। সেইসব মুহূর্ত তুলে ধরতে পারেন বেঙ্গল টাইমসে। )‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.