পুজো অনুদানের বদলে পার্শ্বশিক্ষকদের মাইনে বাড়ানোই যেত

হেমন্ত রায়

আবার সেই পুজো অনুদান। না চাইতেই। এবার আর দশ হাজার নয়। পুজো কমিটিগুলোকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। কোনও কোনও কমিটিকে দেওয়া হবে ৩০ হাজার। রাজ্যে সরকারের প্রাথমিক হিসেব, এর জন্য অন্তত ৭০ কোটি টাকা খরচ।

গতবছর এই চমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেবারও প্রায় তিরিশ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল  এই খাতে। কোনও পুজো কমিটি অনুদান চেয়েছিল, এমন কোনও খবর নেই। তা সত্ত্বেও আগ বাড়িয়ে এইসব টাকা দান খয়রাতির কাজে লাগানো হয়েছিল।

open forum3

এই সত্তর কোটি টাকায় কী হতে পারত? অনেক কিছুই হতে পারত। আপাতত একটি বিষয় তুলে ধরা যাক। দীর্ঘদিন ধরে মাইনে বাড়ানোর আন্দোলন করে চলেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। দীর্ঘদিন ধরে একই মাইনেতে কাজ করে চলেছেন। মাইনে বাড়ানোর দাবি অতন্যন্ত যুক্তিযুক্ত। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, এই মুহূর্তে প্রাথমিক স্তরে তেইশ হাজার পার্শ্বশিক্ষক আছেন। বেশ, ২৫ হাজারই ধরা গেল।

তাঁদের যদি মাসে ২ হাজার টাকা করে মাইনে বাড়ানো যেত, তাহলে এক মাসের খরচ হত পাঁচ কোটি। এক বছরের খরচ ষাট কোটি। অর্থাৎ, তিনদিনের হুল্লোড় করার খরচ বাঁচাতে পারলে সেই টাকায় সবাইকার ২ হাজারের বেশি মাইনে বাড়ানো সম্ভব। এবং, ওই টাকায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মাইনে দেওয়া যেত। কোনটা বেশি জরুরি? পুজো কমিটিকে তিনদিনের খরচ দেওয়া ? নাকি অল্প মাইনেতে কাজ করা প্যারা টিচারদের মাইনে বাড়ানো? বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানালাম।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.