জ্যোতি বসুর গলা থেকে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। সম্ভবত, ঠান্ডা লেগেছিল। বিধানবাবু ওষুধ দিলেন। বললেন, দু একদিন কথা বলা বন্ধ রাখো।
সেইদিনই বিকেলে কোনও একটা বিষয় নিয়ে বিধানবাবুর দপ্তরে গেলেন জ্যোতিবাবু। বিধানচন্দ্রর কোনও একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীতা করলেন। পাল্টা যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে একটু বেশি জোরে কথা বলছিলেন। ধমক লাগালেন বিধানচন্দ্র, ‘তোমাকে সকালেই বললাম, বেশি চিৎকার করবে না। তবু চিৎকার করছ ? এত চিৎকার করলে চলবে ? বাইরে থেকে চিৎকার করা সোজা। একদিন তোমাকেই এই রাজ্য চালাতে হবে। সেদিন বুঝবে, কাজটা কতটা কঠিন।