সেই বন্‌ধের রাস্তাতেই ফিরতে হচ্ছে!‌

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌ কেউ বন্‌ধ ডাকলেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবেই হোক, বন্‌ধ ব্যর্থ করতে হবে। কাজ হোক বা না হোক, কর্মসংস্কৃতির বিজ্ঞাপন দেখাতেই হবে। একসময় কথায় কথায় বন্‌ধ ডাকা তৃণমূল নেত্রী হঠাৎ করে কর্মসংস্কৃতিপ্রেমী হয়ে ওঠেন।
কিন্তু আবার সেই বন্‌ধের রাস্তাতেই ফিরছে তৃণমূল। এনআরসি নিয়ে আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ট্রেন আটকেছিল তৃণমূল। নানা সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে বন্‌ধ ডেকেছে। দলের ব্যানারে না হলেও নেতৃত্বে সেই তৃণমূলের সামনের সারির নেতারাই ছিলেন। এবার ফের বন্‌ধ চুঁচুড়ায়। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে কে মেরেছে, তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু এর মধ্যেই মন্ত্রীরা যে যা পারছেন, বলে যাচ্ছেন।

strika

গত এক বছরে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা খুন হয়েছেন। অধিকাংশক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর তৃণমূলেরই অন্য একটি অংশের দিকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃতের বাড়ির লোক পরিষ্কার জানিয়েছেন, এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। কিন্তু তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে নেতামন্ত্রীরা নিজেদের রায় জানিয়ে বসে থাকেন।
এক্ষেত্রেও তেমনটা হচ্ছে না তো?‌ এই খুনের সঙ্গে কারা যুক্ত?‌ স্থানীয় মানুষ কী বলছেন?‌ স্থানীয় পার্টিকর্মীরা কী বলছেন?‌ পরিবারের লোকেরাই বা কী বলছেন?‌ সেসব তথ্য সামনে আনার সাহস হবে?‌ পুলিশকেও হয়ত ধামাচাপাই দিতে হবে। এদিকে, বন্‌ধ ডাকা হয়ে গেল। কই, মুখ্যমন্ত্রীকে বন্‌ধের বিরুদ্ধে একবারও তো বলতে শোনা গেল না। ডিএম, এসপিদের মুখে তো কর্মসংস্কৃতির বাণী শোনা গেল না। বন্‌ধ তুলে দিতেও দেখা গেল না।
এই তো শুরু। এবার দেখতে থাকুন। নানা এলাকাতেই নানা ইস্যুতে বন্‌ধ হবে। এবং বন্‌ধের পেছনে ‘‌অনুপ্রেরণা’‌ও থাকবে। আপাতত বিভিন্ন জেলায়, ব্লক স্তরে বন্‌ধ হবে। সেদিন আর দূরে নেই, যেদিন নেত্রী পুরানো ফর্মে ফিরে ফের বাংলা বন্‌ধ ডেকে ফেলবেন। এবং সরকারি প্রশাসন লাফিয়ে পড়বে সেই বন্‌ধ সফল করতে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.