সমর্থকদের আবেগ আছে বলেই কিন্তু কর্পোরেট সংস্থা এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তারপর তারা আবেগটাকেই অস্বীকার করতে চাইছে। আই লিগের প্রথম ম্যাচে জয় এল, কিন্তু ক্লাবের ওয়েবসাইটে আপডেট টুকুও পাওয়া গেল না। নতুন স্পন্সরের হাত ধরে কোন পথে চলেছে ইস্টবেঙ্গল? বেঙ্গালুরু থেকে লিখেছেন দেবাঞ্জন বিশ্বাস।।
ইস্টবেঙ্গল কি আইএসএল খেলবে? জানি না। অন্তত এ বছর যে খেলছে না, তা তো দেখতেই পাচ্ছি। টানা সাতবার কলকাতা লিগ জিতেছি। এবার তাও হাতছাড়া। আই লিগে কি জয় আসবে? তবে প্রথম ম্যাচে জয় আসায় কিছুটা স্বস্তি তো আছেই।
আমি এক প্রবাসী বাঙালি। যদিও কর্মসূত্রে বাংলার বাইরে আসা। কোনও একদিন আবার বাংলায় ফিরেও যাব। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, আপাতত বাংলার বাইরে। টিভি চ্যআনেলের খেলাও অনেকসময় দেখতে পাই না। আবার পরের দিন কাগজে রেজাল্ট জানব, এত ধৈর্য নেই। টাটকা রেজাল্ট জানতে চাই।
এখন অবশ্য ওয়েবসাইট আছে, সোশ্যাল মিডিয়া আছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এতরকম বিভ্রান্তিকর পোস্ট ঘুরে বেড়ায়, সত্যিটা ছেঁকে নেওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এতদিন ভরসা ছিল ক্লাবের ওয়েবসাইট। কিন্তু শেষ ম্যাচে বেশ হতাশ হলাম। ম্যাচের কোনও আপডেড পেলাম না। এমনকী ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ম্যাচ রিপোর্টও নেই। শুনলাম, কোয়েস্ট নাকি আলাদা একটি ওয়েবসাইট করেছে। সেখানে গিয়ে আরও হতাশ হলাম। বুঝলাম, এরা আর কী বোঝে জানি না, কিন্তু ফুটবলপ্রেমীদের আবেগটা বোঝে না। সেখানেও ম্যাচ সম্পর্কে কিছুই নেই।
ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে ওঠা–বসা নেই। যোগাযোগও নেই। তাই জানি না, আমাদের এই ক্ষোভের কথা কীভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়েছি। শুনেছি, বেঙ্গল টাইমসের একটা প্রভাব আছে। অনেকেই এই সাইটটা পড়েন। তাই বেঙ্গল টাইমস মারফত আমার আবেদন জানিয়ে রাখলাম। আমরা, যারা অনেক দূরে থাকি, তারা যেন ঠিক সময়ে ম্যাচের রেজাল্ট পাই, সেদিকে ক্লাবকর্তারা নজর দিন। পেশাদারিত্ব আসা মানে কিন্তু আবেগকে বিসর্জন দেওয়া নয়।