বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: বাম রাজনীতিতে অনেকটা অবাক করার মতোই ঘটনা। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে এলেন তরুণ বিধায়ক আলি ইমরান (ভিক্টর)। পুরুলিয়ায় শেষ হল দলের রাজ্য সম্মেলন। নরেন চ্যাটার্জি ফের রাজ্য সম্পাদক হবেন, সেটা জানাই ছিল। ফের সম্পাদক হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কী কী বলবেন, তার মধ্যেও নতুনত্ব কিছু নেই। সম্মেলনের সবথেকে বড় চমক সম্পাদকমণ্ডলীতে ভিক্টরের অন্তর্ভূক্তি।
চাকুলিয়ার এই তরুণ বিধায়ক বিধানসভায় বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ। এই কঠিন সময়েও জিতে এসেছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে একমাত্র চাকুলিয়া ব্লকেই বামেরা সব আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। সারা রাজ্যে বামেরা একটি মাত্র জেলা পরিষদ আসনে জিতেছিল। সেটিও চাকুলিয়াতেই। নিজের এলাকায় ফরওয়ার্ড ব্লকের সংগঠনকে অনেকটাই ধরে রেখেছেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন।
বাম রাজনীতিতে একটা প্রবাদ আছে, চুল–দাড়ি না পাকলে সম্পাদকমণ্ডলীতে আনা হয় না। ধরেই নেওয়া হয়, বয়স ষাট বছর না হলে, সম্পাদকমণ্ডলীতে আসার স্বপ্ন না দেখাই ভাল। সেখানে ৩৭ বছরের ভিক্টরকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে আনা অবশ্যই বড় এক চ্যালেঞ্জ। কোনও সন্দেহ নেই, এবারের সম্মেলনে এটাই সেরা বার্তা।
কিন্তু এই বার্তা কি বাংলার সবজান্তা মিডিয়া বুঝবে? সম্ভাবনা খুবই কম। এখনই লিখে দেওয়া যায়, অধিকাংশ কাগজে রাজ্য সম্মেলনের খবরটুকুও থাকবে না। কোথাও কোথাও থাকলেও বুড়ি ছোঁয়া। ‘ফের সম্পাদক নরেন’ মার্কা দু–চার লাইনের খবর। নইলে, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়’ মার্কা বহু ব্যবহৃত শিরোনাম। বামেদের সংগঠন অনেক ফিকে হয়ে এসেছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু মিডিয়ার বোধ–বুদ্ধি–বিবেচনায় যেন আরও বড় দৈন্যতা নেমে এসেছে। তাই এই খবরের তাৎপর্য বোঝার ক্ষমতা মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।