বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ বয়সে তিনিই সবার ছোট। চেহারাতেও তাই। কিন্তু যুব লিগের ডাকা সভায় সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন সৌম্যদীপ সরকার।
বক্তার তালিকায় ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ, দলের রাজ্য চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, সর্বভারতীয় নেতা ডি দেবরাজন, রাজ্য নেতা নরেন চ্যাটার্জি, অক্ষয় ঠাকুর, তরুণ তুর্কি বিধায়ক আলি ইমরান। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন কোচবিহারের ছাত্রনেতা সৌম্যদীপ।
রানি রাসমনি রোডে যুব লিগের ডাকে ছিল মস্ত এক জমায়েত। চিটফান্ডে জোষীদের শাস্তি, আমানতকারিদের টাকা ফেরত, সব হাতে কাজ চাই, উত্তরের এইমস উত্তরেই চাই, এসব দাবিকে সামনে রেখে ছিল সভা। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ উঠে এল। প্রথম বক্তাই ছিলেন সৌম্যদীপ। টেনে আনলেন আগের বাম সরকারের স্লোগান। তাঁর কথায়, ‘আমাদের স্লোগান ছিল কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত। আর এই সরকারের স্লোগান চিটফান্ড আমাদের ভিত্তি, জেলখানা আমাদের ভবিষ্যত।’ আজ সারদামণির জন্মদিন। সেই রেশ টেনে এনে সৌম্যদীপ বলেন, ‘আগে মা সারদা ছিলেন মমতাময়ী। আর আজকে দিদি মমতা হলেন সারদাময়ী।’ এই দুটি স্লোগান এর আগে কলকাতার কোনও সভায় শোনা যায়নি। বক্তৃতার মাঝে এমন স্লোগান শুনে আপ্লুত বর্ষীয়াণ নেতা অশোক ঘোষ। কর্মসংস্থান থেকে সাম্প্রদায়িকতা, নানা বিষয় উঠে আসে ছাত্রনেতা সৌম্যদীপের ভাষণে। এতদিন ছাত্র সংগঠনের সভায় নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। এবার দলীয় শীর্ষনেতৃত্বের মাঝে নিজেকে নতুন করে চিনিয়ে দিলেন এই তরুণ ছাত্রনেতা।