ফুটবলাররা ট্রেনে চড়লে এত গেল গেল রব কেন?‌

সুমিত চক্রবর্তী

কিছু একটা হুজুগ পেলেই হল। বাঙালিকে আর দেখতে হচ্ছে না। সেটা নিয়েই কয়েকদিন বাঙালি মেতে থাকবে। কলকাতা ময়দানও আলাদাকিছু নয়। আর এই সোশাল মিডিয়া হওয়ায় এই হুজুগটা তো আরও বেড়ে গেছে।
এবার নতুন বিষয় পাওয়া গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা কেন ট্রেনে চেপে ফিরে এল। এই নিয়ে মোহনবাগান যথারীতি নানা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছে। কেন খেলোয়াড়রা ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে আসবে, এ নিয়ে কর্তারাও নাকি ক্ষিপ্ত। তাঁরা নাকি ট্রেনে আসা ফুটবলারদের শো কজ করতে চলেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, কর্তাদের কাজকর্ম কিছুই নেই। যেগুলোয় নজর দেওয়া দরকার, সেদিকে নজর নেই। আর যেগুলো নজর না দিলেও চলে, সেগুলো নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা।

east bengal
যদি কয়েকজন ফুটবলার নিজেদের দায়িত্বে ট্রেনে এসেই থাকেন, এতে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে?‌ ফুটবলাররা উঠে এসেছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ি থেকেই। কেউ কেউ লোকাল ট্রেনে, অনেক দূর থেকে ময়দানে প্র‌্যাকটিসে আসতেন। এখনও অনেকে প্র‌্যাকটিস সেরে ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনেই বাড়ি ফিরে যান। ক্লাবের মর্যাদা নিয়ে কর্তাদের যখন এতই চিন্তা, তখন তাঁরা ফুটবলারদের একটা করে গাড়ি দিলেই পারেন। তাছাড়া, কটক থেকে গাড়িতে আসাটা বেশ ধকলের। কেউ যদি ট্রেনেই আসেন, অসুবিধা কোথায়?‌ অধিকাংশ ফুটবলারই জায়গা পেয়েছিলেন। যদি একটু দাঁড়াতেও হয়, তাতেই বা এত গেল গেল রব তোলার কী আছে?‌
যাঁরা এলেন, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তাহলে বাকিদের এত আপত্তি কেন?‌ সোশাল মিডিয়ায় কয়েকজন মোহন সমর্থক হয়ত বিদ্রুপ করেছেন। সেটাকে উপেক্ষা করলেই হত। তার জন্য ক্লাবকে আগ বাড়িয়ে শো কজ করতে হবে?‌ কর্তারা কবে যে সাবালক হবেন!‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.