বৃষ্টি চৌধুরি
বরফ দেখেতে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। এমনকি কাশ্মীরেও যাওয়া হয় না। সিকিমের ছাঙ্গু বা নাথুলায় যাবেন, তাও সবসময় হয়ে ওঠে না। এবার থেকে বরফ দেখতে হলে দুর্গাপুর চলে আসুন। দুধের সাধ ঘোলে ঠিক মিটে যাবে।
চাইলেই আপনি ঢুকে পড়তে পারেন বরফের সাম্রাজ্যে। একবার ঢুকে পড়লে দিব্যি একঘন্টা থাকতে পারেন। মনেই হবে না আপনি দুর্গাপুরে বা বাংলার কোথাও আছেন। চারপাশের যা আবহ, মনে মনে ভেবে নিতেই পারেন, আপনি সুইজারল্যান্ড বা বরফমোড়া কোনও জায়গায় আছেন।
সাত হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা নিয়ে আস্ত এক বরফ-সাম্রাজ্য। নাম দেওয়া হয়েছে ওয়ার্ল্ড অফ স্নো। কেউ কেউ স্নো পার্কও বলছেন। কী আছে এই স্নো পার্কে ? ভেতরের তাপমাত্রা থাকছে মাইনাস ছয় ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। স্বাভাবিক নিয়মেই সবকিছউ বরফে বরফে ছয়লাপ। স্নো ফল, কেবল কার, ডিস্কো অন আইস, স্নো ব্লাস্টার্স সহ নানা আকর্ষণীয় উপাদান। বরফ ছোড়াছুড়ি থেকে বরফে নাচ, গাড়ি চালানো, স্কেটিং- নানা বিনোদনের উপাদান।
দুর্গাপুর জংশন মলের পাঁচ তলায় চালু হল এই স্নো পার্ক। এই পার্ক তৈরি করেছে এন্টারটেনমেন্ট রিলোটেড। মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, জয়পুরে এই পার্ক থাকলেও বাংলায়, তথা পূর্ব ভারতে এই প্রথম। এক ঘন্টার জন্য ঢোকার খরচ ৫০০ টাকা। বাড়তি সময় থাকলে প্রতি দশ মিনিটে আশি টাকা। তবে এর মধ্যেই ধরা থাকছে পোশাকের খরচ। অর্থাৎ, আপনাকে বাড়ি থেকে শীতের পোশাক নিয়ে যেতে হবে না। মাইনাস ছয় ডিগ্রিতে থাকতে হলে যা যা পোশাক দরকার, তা এই সংস্থাই জোগান দেবে। চালু হবে সকাল ১১ টায়,খোলা থাকবে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
দুর্গাপুর তো বটেই, আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষেরা আসবেন, এমনটাই মনে করছেন এন্টারটেনমেন্ট রিলোটেড এর কর্তারা। তাঁদের দাবি, অনেকেই সুইজারল্যান্ড কাশ্মীরে যেতে পারেন না। কিন্তু বরফের প্রতি মানুষের একটা আকর্ষণ থাকেই। এত কাছে, এত অল্প খরচে যদি সেই বরফের দেশে যাওয়া যায়, সেটা একটা বাড়তি পাওনা।
তাহলে বড়দিনেই আপনার ঠিকানা হতে পারে দুর্গাপুরের এই তুষার পার্ক। একবার ঘুরেই আসুন।