কলকাতায় এখন একটাই উৎসব–বইমেলা। চারিদিকে যতই মেলার বন্যা বয়ে যাক, এই মেলার জায়গা অন্য কোনও মেলাই নিতে পারবে না। এই মেলার কাছে যেন সব মেলার জামানত বাজেয়াপ্ত।
প্রতিবছরই এই মেলায় যাই। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার ৬ দিনের মধ্যে মাত্র দু’দিন যেতে পেরেছি। বাকি দিনগুলির মধ্যে কদিন যেতে পারব, জানি না। যাওয়ার ইচ্ছে আছে। কিন্তু যাতায়াত সমস্যা একটা বড় ফ্যাক্টর।
একটা বিষয় বেঙ্গল টাইমসের ওপেন ফোরাম বিভাগে তুলে ধরতে চাই। আমার এখনও মনে হয়, বইমেলার জায়গা হিসেবে ময়দানটাই ভাল ছিল। মিলন মেলায় বইমেলা মন থেকে ঠিক মেনে নিতে পারছি না। এটা শুধু আমার ভাবনা নয়। যাঁরা বইমেলার আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, আমার মনে হয়, তাঁদের অনেকেরই মনের কথা। কটা দিন যদি ময়দানে বইমেলা হত, কী এমন ক্ষতি হয়ে যেত? মিলনমেলায় আর যাই থাক, সেই প্রাণটাই যেন খুঁজে পাচ্ছি না। কেমন একটা কর্পোরেট কর্পোরেট ব্যাপার।
কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিলনমেলায় আসা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। মেট্রোর যোগাযোগ নেই। ট্রেনের যোগাযোগ নেই। শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে আসা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। সরাসরি বাস প্রায় নেই বললেই চলে। অনেক ভেঙে আসতে হয়। বাস যেখানে নামায়, সেখান থেকে ভিড় ঠেলে অনেকটা হাঁটতে হয়। বেরিয়ে আসার সময় সমস্যাটা আরও বেশি। বেরোনোর মুখে অনেককেই বলতে শুনেছি, যা ঝামেলা, আর নয়। প্রশ্ন হল, এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কেন ফিরতে হবে? পার্ক সার্কাস থেকে বাস থাকছে। এই কদিন শিয়ালদা বা হাওড়া স্টেশন থেকে কিছু স্পেশাল বাস রাখা যেত না? আগামীবার থেকে কর্তারা বিষয়গুলি ভেবে দেখবেন। খুব ভাল হয় যদি বইমেলাকে আবার তার হারানো জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া যায়। এই নিয়ে বইমনস্ক মানুষ কী ভাবছেন?
(ওপেন ফোরামে আপনিও আপনার মতামত পাঠাতে পারেন। বইমেলা কোথায় হতে ভাল হয়? এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী? মিলন মেলায় কী সুবিধে, কী অসুবিধে? ময়দানে হলেই বা কেমন হয়? পক্ষে বা বিপক্ষে আপনিও মতামত জানাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)