প্রসূন মিত্র, বিষ্ণুপুর
আরও এক মুকুট যুক্ত হতে চলেছে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের মাথায়। এবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে ঢুকে পড়তে চলে বিষ্ণুপুরের নাম। যেমন দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন বা সুন্দরবন আছে, তেমনই থাকবে বিষ্ণুপুরও।
এই শহরের ইতিহাস অন্তত পাঁচশো বছরের পুরানো। একদিকে টেরাকোটা, একদিকে সঙ্গীতের সেই ঘরানা। মল্লরাজাদের নানা গৌরবগাঁথা ফেরে মুখে মুখে। পাঁচশো বছর আগ কীভাবে মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে এই সব মন্দির, তা আজও বিস্মিত করে মানুষকে। সেই টানেই দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। সেই টেরাকোটার কাজ এর মধ্যেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের খসড়ায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতন ও বিষ্ণুপুরকে অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। শান্তিনিকেতনের ব্যাপারে আরও কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কর্তারা। কিন্তু বিষ্ণুপুর নিয়ে যেসব নথি পাঠানো হয়েছিল, তাতে তাঁরা বেশ খুশি। একটি প্রতিনিধি দল এসে ঘুরেও গেছেন মন্দির নগরী থেকে।
পাঁচচূড়া, মদনমোহন, কালাচাঁদ, শ্যামরাই, জোড়বাংলোসহ বারোটি মন্দির সংরক্ষণের কাজ করছে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ। এই বারোটি মন্দিরও রয়েছে হেরিটেজের খসড়ায় । আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আসতে পারে আরও একটি প্রতিনিধি দল। সরকারি মহলের দাবি, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে বিষ্ণুপুরের নাম ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তা হয়ে গেলেই অন্য মাত্রা পাবে মন্দির নগরী। বিদেশ থেকে, এমনকি দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আরও বেশি মাত্রায় ভিড় জমাবেন গবেষক ও পর্যটকেরা। আপাতত সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে মন্দির নগরী।