বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: এক সময় খুব জনপ্রিয় একটা প্রবাদ ছিল— তিনটে সরকার আছে। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, অভীক সরকার। কেউ কেউ বলেন, এটা নাকি স্বয়ং অভীকবাবু বলতেন। আবার কেউ কেউ বলেন, অভীকবাবু সরাসরি বলেনননি। তাঁকে খুশি করতে অন্যরা এটা চাউর করেছিলেন।
সেই অভীকবাবু আর আনন্দবাজারের সম্পাদক নেই। সাড়ে তিন বছর আগে, কার্যত নিঃশব্দেই সরে গেছেন। পরবর্তী সম্পাদক হয়েছিলেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও একেবারে নিঃশব্দেই বিদায় নিলেন। আনন্দবাজারের প্রিটার্স লাইনে বদলে গেল সম্পাদকের নাম। নতুন সম্পাদক ঈশানী দত্ত রায়।
অনির্বাণবাবুর সরে যাওয়া নিয়ে মিডিয়া মহলে নানা জল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, চুক্তি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছিল। হতেও পারে। তবে, সেটা সরে যাওয়ার কারণ নয়। দিন কয়েক আগেই তাঁকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। প্রায় ছ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল। শনিবারই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
আনন্দবাজারের সম্পাদককে পুলিশ ডেকে পাঠাচ্ছে। জেরা করছে। এর গুরুত্বটা নতুন করে বোঝানোর দরকার নেই। যাঁর একটু বোধবুদ্ধি আছে, তিনিই বুঝবেন। কিন্তু সেই ব্যাপারে কোনও কাগজে এক লাইনও খবর নেই। কেন চেপে যাওয়া হল, সেটাও বোধগম্য না হওয়ারই কথা। কোনও কোনও মহল দাবি করছে, এর সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক নেই। অন্য কোনও কারণে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
অন্য কোনও কারণ থাকতেই পারে। অন্তত পুলিশ যখন ডেকেছে, তখন অন্য কোনও কারণ দেখানো হতেই পারে। কিন্তু শুধুই অন্য কারণ! যদি ব্যক্তিগত কোনও কারণ হয়েও থাকে, তাও পুলিশের এত সাহস হবে! বিশেষ নির্দেশ ছাড়া আনন্দবাজারের সম্পাদককে ডাকার ক্ষমতা স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের আছে!
তাই ব্যাপারটা ঠিক হজম হল না। সরকার বা প্রশাসনকে এতখানি সুবোধ বালক ভাবার কোনও কারণ নেই।