বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: মেট্রো নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কখনও মেট্রো রেলের দরজা খুলছে না। কখনও মাঝপথেই থেমে যাচ্ছে। কখনও মেট্রোর দুপাশের বাড়িতে ফাটল ধরছে। একের পর এক পরিবারকে গৃহহীন হয়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ অনেকদিন ধরেই চলছে। বেশ কিছু এলাকায় অনেকদিন ধরেই ট্রায়াল রান চলছে। কবে সেই ট্রেন চালু হবে, এখনও বোঝা যাচ্ছে না। শোনা গিয়েছিল, গত বছর পুজোর আগেই নাকি ফুলবাগান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তারপর শোনা গেল, ভোটের আগেই হয়ত উদ্বোধন হয়ে যাবে। তারপর শোনা গেল, এবার পুজোর আগেই চালু হয়ে যাবে। কিন্তু কবে যে চালু হবে, এখনও স্পষ্ট কোনও ঘোষণা নেই। উদ্বোধনের তারিখ দশ পনেরো দিন পেছোতেই পারে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বিলম্বিত হবে কেন? তার মানে, অদ্ভুত এক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি রাজ্যের দিক থেকেও কি ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে? দিনের পর দিন নানা জট লেগেছিল। জমি অধিগ্রহন থেকে শুরু করে আরও নানা বিষয়ে রাজ্যের অসহোগিতা বারেবারেই প্রকট হয়ে উঠেছে। এমনকী, মেট্রোর রুট ঠিক করা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। যে এলাকা দিয়ে মেট্রোর লাইন যাওয়ার কথা ছিল, রাজ্যের জেদের বশে সেই রুট বদলে যায়। সেই সহজ রুট অহেতুক অনেকটা ঘুরিয়ে দিতে হয়। রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে তো আর উন্নয়নের কাজ করা যায় না। বাধ্য হয়েই রাজ্যের নানা দাবিকে মেনে নিতে হয়েছিল। অহেতুক জেদাজেদি করলে কী ফল হয়, রাজ্য সরকার কি তা বুঝল? এই ঘটনা থেকে কি তারা কোনও আত্মসমীক্ষা করবে? সম্ভাবনা কম।
আসলে, সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে পড়াটা কখনই কাম্য নয়। উন্নয়ন হোক উন্নয়নের মতো। এখানে কৃতিত্ব নেওয়ার এই ছেলেমানুষিটা এবার বন্ধ হোক।