জীবনে চলার পথে হারিয়ে যাওয়া কোনও বন্ধুর সেই দুষ্টুমির কথা উঠে আসতেই পারে। কোনও মাস্টারমশাইয়ের ধমক বা স্নেহের শাসন, সরস্বতী পুজো বা দুর্গা পুজোর ছোট ছোট ঘটনা, যেগুলো মাঝে মাঝেই মনে পড়ে যায়। লড়াইয়ের দিনগুলোয় কারা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত?…

সে এক সময় ছিল, যখন বিজয়া দশমী মানে অন্য এক আবেগ। দুপুরেই দেবীর বিসর্জন। একটা বিষাদের ছায়া। সেই বিষাদকে ছাপিয়ে সন্ধেয় দেখা যেত মহামিলন। আত্মীয়, প্রতিবেশী, বন্ধুদের বাড়ি যাওয়া। বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা, ছোটদের আশীর্বাদ করা, আর সমবয়সীদের…

পুজো মানেই বাঙালির কাছে এক নস্টালজিয়া। এই নিয়ে সনৎ সিংহের চমৎকার একটি গান ছিল। ‘‌এক এক্কে এক/‌নামতা পড়ে ছেলেরা সব পাঠশালারই ঘরে/‌নন্দী বাড়ির আটচালাতে কুমোর ঠাকুর গড়ে।’‌ ছোটবেলা থেকে গানটি শুনে আসছি। এই গানের মধ্যে যেন নিজেদের হারানো সেই ছেলেবেলাকে…

তারপরেও ভোলেবাবা গেছি। কিন্তু আর কখনও গঞ্জিকা চক্করে পড়িনি। তবে এখনও কাউকে ভোলেবাবা যেতে দেখলে গন্ধেশ্বরীর পাড়ে ঘুমিয়ে পড়ার দৃশ্যটা মনে পড়ে যায়।

আমরা গর্ব করে বলি, আমাদের একটা গাভাসকার ছিল। এই গর্ব আজীবন বয়ে বেড়াতে চাই। আমরা শচীন, কোহলিকে ভালবাসি। তাঁদের জন্যও গর্ব করি। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্ন এলে চোখ বুজে মনে পড়ে দশ হাজার রানের সেই দৌড়টা।

আমার মনে প্রথম দাগ কাটা ছবি শত্রু। তখন কে অঞ্জন চৌধুরি, চিনতাম না। আমার কাছে শত্রু মানে রঞ্জিত মল্লিক। এক সৎ ও সাহসী পুলিশ অফিসার। সেই ছবিতে চিরঞ্জিৎ ছিলেন, প্রসেনজিৎও ছিলেন। কিন্তু আমার মনজুড়ে একজনই রঞ্জিত মল্লিক। সেই ছবিটা দেখেই…

ষাট পেরোনো নস্টালজিয়া নিয়ে আবার খুঁজতে বেরোবো। ফিরে আসুক সেই ডাবল ডেকার। আবার সেই উদ্দেশ্যহীনভাবে না হয় বাসে উঠে পড়ব। ষাটোর্ধ্ব চোখ দিয়ে আবার খুঁজব আমার হারানো কলকাতাকে।

সজল পাত্র দিনটা প্রতিবারই নিঃশব্দে পরিয়ে যায়। এখন রোজই কিছু না কিছু দিবস। এত দিবসের কথা আগে কখনও শুনিনি। ছোট বেলায় আমাদের কাছে দিবস বলতে স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস। তারপর শুনলাম, প্রেম দিবস, ভাষা দিবস। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বছরে…

বললাম, তোপসে কি বড় হবে না? ওকে একা ছেড়ে দিন না। সে–ও কিছু সমাধান করুক। এতটুকুও বিরক্ত হলেন না। উনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘তাহলে যে ফেলু একা হয়ে যাবে। তোপসে ছাড়া সে–ও যে অসম্পূর্ণ।’