ষাট পেরোনো নস্টালজিয়া নিয়ে আবার খুঁজতে বেরোবো। ফিরে আসুক সেই ডাবল ডেকার। আবার সেই উদ্দেশ্যহীনভাবে না হয় বাসে উঠে পড়ব। ষাটোর্ধ্ব চোখ দিয়ে আবার খুঁজব আমার হারানো কলকাতাকে।

সজল পাত্র দিনটা প্রতিবারই নিঃশব্দে পরিয়ে যায়। এখন রোজই কিছু না কিছু দিবস। এত দিবসের কথা আগে কখনও শুনিনি। ছোট বেলায় আমাদের কাছে দিবস বলতে স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস। তারপর শুনলাম, প্রেম দিবস, ভাষা দিবস। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বছরে…

বললাম, তোপসে কি বড় হবে না? ওকে একা ছেড়ে দিন না। সে–ও কিছু সমাধান করুক। এতটুকুও বিরক্ত হলেন না। উনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘তাহলে যে ফেলু একা হয়ে যাবে। তোপসে ছাড়া সে–ও যে অসম্পূর্ণ।’

আমাদের কাছে পয়লা বৈশাখ ছিল অন্য এক উন্মাদনা। যার অনেকটাই হারিয়ে গেছে। এখনকার পয়লা বৈশাখের সঙ্গে সেদিনের সেই নির্মল আনন্দের কোনও তুলনা হবে না। সত্যিই, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম।

আমাদের ছোটবেলায় শরৎকাল, বসন্তকাল নিয়ে রচনা আসত। কেউ কেউ ঝেড়ে মুখস্থ করত। আবার কেউ কেউ নিজেদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে এটা–‌সেটা কিছু একটা লিখে আসত। এখনকার যা সিলেবাস, বোধ হয় এসব রচনা আর আসে না। আর এলেও বানিয়ে লেখা বোধ হয় সম্ভব…

ছোটবেলার পুজো বলতে বারবার মনে পড়ে সরস্বতী পুজোর কথা। দুর্গাপুজো নিয়ে বাঙালির আবেগের শেষ নেই। কিন্তু কেন জানি না, সেই আবেগ ছোটবেলায় সেভাবে স্পর্শ করেনি। তার থেকে অনেক বেশি আপন মনে হত সরস্বতী পুজোকে। কারণ, এই পুজোর দায়িত্বে থাকত ছোটরাই।…

ছোটবেলার পুজো বলতে বারবার মনে পড়ে সরস্বতী পুজোর কথা। দুর্গাপুজো নিয়ে বাঙালির আবেগের শেষ নেই। কিন্তু কেন জানি না, সেই আবেগ ছোটবেলায় সেভাবে স্পর্শ করেনি। তার থেকে অনেক বেশি আপন মনে হত সরস্বতী পুজোকে। কারণ, এই পুজোর দায়িত্বে থাকত ছোটরাই।…

আমার মনে প্রথম দাগ কাটা ছবি শত্রু। তখন কে অঞ্জন চৌধুরি, চিনতাম না। আমার কাছে শত্রু মানে রঞ্জিত মল্লিক। এক সৎ ও সাহসী পুলিশ অফিসার। সেই ছবিতে চিরঞ্জিৎ ছিলেন, প্রসেনজিৎও ছিলেন। কিন্তু আমার মনজুড়ে একজনই রঞ্জিত মল্লিক। সেই ছবিটা দেখেই…

সেই আবহেই এসে গেলেন শচীন তেন্ডুলকার। ষোল বছরের একটা ছোট্ট ছেলে। তখনও গোঁফ গজায়নি। প্রথম টেস্ট ছিল করাচিতে। সেই টেস্ট টিভিতে দেখানো হয়নি। যতদূর মনে পড়ে, পরের টেস্টও টিভিতে দেখানো হয়নি। দেখেছিলাম শেষ দুটো টেস্ট। অর্থাৎ, লাহোর আর শিয়ালকোট। ছেলেটার…

জীবনে চলার পথে হারিয়ে যাওয়া কোনও বন্ধুর সেই দুষ্টুমির কথা উঠে আসতেই পারে। কোনও মাস্টারমশাইয়ের ধমক বা স্নেহের শাসন, সরস্বতী পুজো বা দুর্গা পুজোর ছোট ছোট ঘটনা, যেগুলো মাঝে মাঝেই মনে পড়ে যায়। লড়াইয়ের দিনগুলোয় কারা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত?…