বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনের মতিগতি বোঝা বড়ই মুশকিল। হঠাৎ, বিজ্ঞপ্তি জারি হল, দার্জিলিং বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচন হবে। সারা দেশে দুটি, এই রাজ্যে একটিই কেন্র, সেটি দার্জিলিং।
দার্জিলিং কেন্দ্রে বিধায়ক অমর সিং রাই বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি লোকসভা আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন। তাই, তাঁর শূন্য আসনে ১৯ মে ভোট। বিধানসভার উপনির্বাচন যদি এখনই করার দরকার ছিল, তাহলে তো লোকসভার সঙ্গেই সেরে ফেলা যেত। তা না করে হঠাৎ ১৯ মে কেন?
তার থেকেও বড় প্রশ্ন, এই রাজ্যে অমর সিং রাই ছাড়াও আরও অনেকেই তো পদত্যাগ করেছেন। যেমন কান্দি থেকে অপূর্ব সরকার, নওদা থেকে আবু তাহের, ইসলামপুর থেকে কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এঁরা কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক। কিন্তু লোকসভায় পড়ছেন তৃণমূলের হয়ে। আইনি জটিলতা এড়াতে তাঁরা পদত্যাগ করলেন। বিজেপির ক্ষেত্রেও দুটি এমন উদাহরণ আছে। ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং, চাঁচলের বাম বিধায়ক খগেন মুর্মু দাঁড়িয়েছেন বিজেপির হয়ে। তাঁরাও পদত্যাগ করেছেন। তাহলে তো এই কেন্দ্রগুলিতেও ভোট হওয়ার কথা। হঠাৎ শুধু দার্জিলিং কেন?
লোকসভা ভোটের পরেও কয়েকটি আসন শূন্য হতে পারে। ধরা যাক, সুব্রত মুখার্জি বাঁকুড়া থেকে, মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর থেকে জিতলেন। সেক্ষেত্রে তো বালিগঞ্জ, করিমপুরও শূন্য হওয়ার কথা। কংগ্রেসেরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক (নেপাল মাহাতো, আবু হেনা, শঙ্কর মালাকার) দাঁড়িয়েছেন লোকসভায়। যদিও জেতার তেমন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাঁরা জিতলেও তো আসন খালি হবে। সবগুলো একসঙ্গে পরে করা যেতে পারত। হঠাৎ শুধু দার্জিলিংয়ে প্রার্থী ঘোষণা কেন, মাথায় ঢুকছে না। একটা দুর্বল বা অক্ষম যুক্তিও তো থাকবে। সেটাও শোনা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন সত্যিই নিজেকে হাস্যকর করে তুলছে।