রাহুল বিশ্বাস
পৃথিবীতে ধান্দাবাজ অনেক দেখেছি, বিমল গুরুঙ্গের মতো ধান্দাবাজ খুব কম দেখেছি। না, আলাদা রাজ্য চেয়েছেন বলে ধান্দাবাজ বলছি না। এমন চাওয়া অনেকেরই থাকে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি কিন্তু তাঁরা সবাই ধান্দাবাজ নন।
বিমল গুরুংকে ধান্দাবাজ বলছি, তাঁর আন্দোলনের পদ্ধতি দেখে। যতদিন জি টি এ-র ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন কোনও আন্দোলন করেননি। যেই দেখলেন মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, যেই দেখলেন টাকা খরচের হিসাব দিতে হবে, অমনি গোর্খাল্যান্ড গোর্খাল্যান্ড বলে আবার চিৎকার শুরু করলেন। শুরু করে দিলেন বনধ।
কিন্তু দার্জিলিং এমন একটা জায়গা, যা সমতলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে শুকিয়ে মরবে। তাই কয়েকদিন বন্ধ চালানোর পরেই গোর্খাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। মাথায় এসেছে নতুন ধান্দাবাজি। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবার বন্ধ শিথিল করা হবে। অর্থাৎ, ওইদিন সমতল থেকে প্রয়োজনীয় রসদ তুলে নিয়ে, শনিবার থেকে আবার শুরু হবে অসভ্যতা।
এই অসভ্যতার জবাব বনধ দিয়েই দেওয়া হোক। শুক্রবার সমতল থেকে পাহাড়ে গাড়ি ওঠা বন্ধ করা হোক। পাল্টা বনধ ডাকা হোক সমতলে। সমতল থেকে রসদ না উঠলেই দেখবেন আলাদা রাজ্যের দাবি শুকিয়ে যাবে।
শুধু রসদ কেন? ওই একচিলতে জায়গা তো বেঁচে আছে, বাঙালিদের দয়ায়, মানে বাঙালি পর্যটকদের দয়ায়। দার্জিলিঙে যাওয়া বন্ধ করে দিন। দেখবেন কেমন ত্রাহি মধুসূদন রব ওঠে। বেড়াতে যাওয়ার জায়গা অনেক আছে। সিকিমে যান, শিলঙে যান। যদি খরচ বেশি বলে মনে হয়, পুরুলিয়ায় যান, বাঁকুড়ায় যান। জোর দিয়ে বলছি, হতাশ হবেন না। ওখানে অনেক নতুন নতুন স্পট আবিষ্কৃত হয়েছে। ভালো লাগবেই।
যারা আমাদের চায় না, আমরাই বা তাদের চাইব কেন? পরপর কয়েকটা পর্যটনের মরসুমে দার্জিলিংকে বয়কট করুন। সমতলে পাল্টা বনধ ডেকে দানাপানি শুকিয়ে দিন। দেখবেন, বিমল কেমন গুরুং থেকে লঘুং হয়ে যায়।