স্মৃতিটুকু থাক
সেবার রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরছিলাম। আমার সিট ছিল side lower এ। সামনের সিটে ছিলেন এক বাঙালি দম্পতি এবং তাঁদের অষ্টাদশী এক সুন্দর কন্যা। যার রূপে ও দেহ সৌষ্ঠবে যে কোনও পুরুষ মানুষ মূর্ছা যেতে বাধ্য। আমিও ব্যতিক্রম হইনি। যখনি সুযোগ পেয়েছি, খালি চোখ দিয়ে আকণ্ঠ সুধা পান করেছি। তাঁদের আপার বার্থে ছিল আমরাই বয়সী এক জোয়ান ছোকরা। দেখছিলাম সেই দম্পতি ও সুন্দরী কন্যার সঙ্গে দিব্যি মিশে গিয়ে বেশ একটা family friend হয়ে গেছে। খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে আরও টুকিটাকি কাজ করে তাঁদের বেশ আস্থাভাজন হয়ে গেছেন। মাঝে মাঝে আমাকেও বেশ সন্দেহের চোখে দেখছিলেন। যাই হোক রাতের খাবার খেয়ে একবুক দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে শুয়ে পড়লাম। রাত্রি তখন প্রায় একটা বাজে, জোর কোলাহলে ঘুমটা ভেঙে গেল। চোখ রগড়ে দেখলাম চারিদিকে জোর হুলুস্থূল চলছে। ঘুমের ঘোর কাটলে বুঝলাম সেই ছোকরাটি মেয়েটির নিষিদ্ধ জায়গায় হাত দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে এবং শাস্তি স্বরূপ উদোম কেলানি খাচ্ছে, আর কাঁদতে কাঁদতে বলছে আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমি খুব ভালো ছেলে, আমি আপনাকে নিজের বোনের চোখে দেখি।
কাণ্ডকারখানা দেখে আমি তো হেসে লুটোপুটি। হঠাৎ করে আমার স্কুলের কিছু সহপাঠীর কথা মনে পড়ে গেল যারা সুন্দরী মেয়ে দেখলে আড় চোখে দেখত আর আমরা দু চারটে সিটি মারতেই বলত এই কি হচ্ছে কি, মেয়েদের সম্মান দিতে জানিস না। খুব বাজে ছেলে তোরা। ট্রেনে বসে বসে ঠাকুরকে বললাম ভাগ্যিস আমাকে ভালো ছেলে করোনি।
সব্যসাচী কুণ্ডু, ভাটিন্ডা, পাঞ্জাব
(স্মৃতিটুকু থাক। পাঠকের মুক্তমঞ্চ। টুকরো টুকরো স্মৃতির কথা আপনিও তুলে ধরতে পারেন। প্রতিদিন এমনই একটি করে স্মৃতিচারণ থাকবে বেঙ্গল টাইমসের স্মৃতিটুকু থাক বিভাগে। লেখা পাঠানোর ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)