সাহিত্য নিয়ে যাঁদের কোনও আগ্রহ নেই, কোনও লেখক সম্পর্কে যাঁদের কোনও আগ্রহ নেই, তাঁদের এই বই কোনও কাজে লাগবে না।
কিন্তু যাঁরা সাহিত্য ভালবাসেন, সাহিত্যিকদের ভালবাসেন, তাদের চিঠি লিখতে বা ফোনে কথা বলতে চান, কোনও নতুন বইয়ের হদিশ চান, তাঁদের সংগ্রহে এই বই অবশ্যই থাকা উচিত।
নতুন কোনও বই নয়। সাহিত্যের ইয়ারবুক। বাংলা সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের কাছে নামটা অজানা নয়। দেখতে দেখতে দুই দশক পেরিয়ে গেল। প্রতিবছর হাজির হয় নতুন আঙ্গিকে। সাহিত্যিক ও অধ্যাপক জাহিরুল হাসান প্রথম চালু করেন ২০০২ সালে। অনেক পরিশ্রম করে বিভিন্ন সাহিত্যিকদের ঠিকানা, ফোন নম্বর এসব জোগাড় করেন। বিভিন্ন প্রকশনা সংস্থা থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আধুনিক করে তুলেছে এই ইয়ারবুক। প্রত্যন্ত গ্রামের কোনও কবির সঙ্গে সংযোগ ঘটে যাচ্ছে সুদূর ইউরোপ বা আমেরিকায় থাকা কোনও প্রবাসী লেখকের। নীরবে যেন সেতুবন্ধনের কাজ করে চলেছে এই সংকলন। ভূমিকায় সেদিকেই আলো ফেলেছেন শ্রদ্ধেয় পবিত্র সরকার।
কত লেখকের ফোন নম্বর বদলে গেছে। ঠিকানা বদলে গেছে। অনেকে মারা গেছেন। অনেক নতুন লেখক উঠে এসেছেন। কত নতুন প্রকাশনা সংস্থা এগিয়ে আসছে। কত নতুন নতুন পত্রিকা, ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। কত পত্রিকা অকালেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতকিছুর সঙ্গে সারা বছর জড়িয়ে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। অনেক নিষ্ঠার দরকার হয়। সারা বছর ধরেই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজটি করে চলেছেন বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে এক কথায় মুশকিল আসান।
নাম হয়ে গেছে সাহিত্যের গুগল। কেউ কেউ বলেন সিধু জ্যাঠা। একটা বই, একসঙ্গে এতকিছুর সন্ধান দিতে পারে! যাঁর আছে, তাঁর কাছে এটি অমূল্য সম্পদ। যাঁর নেই, তিনি জানেনও না, কতকিছু থেকে তিনি বঞ্চিত।