স্বনামধন্য নায়িকা যাঁর আজ আর কোনও খোঁজ নেই। জন্মদিনে সেই মিঠু মুখার্জিকে নিয়ে কলম ধরলেন শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সত্তর দশকে যৌবন সরসী রূপ নিয়ে রূপোলী পর্দায় আগমন হয় এক নায়িকার
“স্বয়ংসিদ্ধা” মিঠু মুখার্জি। যাঁর রূপে, দেহসৌষ্ঠবে ছিল অটুট যৌন আকর্ষণ আবার দেবী মুখের মিশেল। মর্জিনা করে সারা বাংলায় প্রথম সারির নায়িকাতে চলে আসেন মিঠু। যে সময় সমাজে “প্রেম করি”/”প্রেম করে বিয়ে” এসব বলা নিষিদ্ধ ছিল সেসময় মিঠু মুখার্জির লিপে সেই বিখ্যাত গান “বেশ করেছি প্রেম করেছি করবই তো” যেন সমাজে ঝড় তোলে ওইরকম গানের সাহসী কথা। মিঠু এতটাই দর্শানুকূল্য পান যে পরপর ছবি হিট হতে থাকে এবং যার রূপে পাগল হয়ে যায় দর্শক। মহানায়কও মিঠুকে তাঁর নায়িকা করতে চান।”হোটেল স্নো ফক্স”,”চাঁদের কাছাকাছি”। মহানায়কের সঙ্গে একই ছবিতে রঞ্জিত মল্লিকের বিপরীতে “মৌচাক” তো সর্বকালীন সুপারহিট।
বলিউডেও পাড়ি দেন মিঠু। করেন বেশ কয়েকটি ছবি। “আশ্রিতা” মিঠুর শেষ হিট ছবি। কনওয়ালজিৎ নায়ক। ছিলেন মিঠুর দিদিও। তারপর আর দেখা গেল না মিঠুকে। আর আসেননি রূপোলী পর্দায়। মিডিয়ার থেকেও সরে যান একেবারে। লাইমলাইট থাকতে থাকতে সরে যাওয়া উচিত সেটা হয়তো বুঝেই সরে যান। আমরা কেউ দেখিনি তার প্রৌঢ়া রূপ।
ব্যক্তিগত জীবন বলতে আমাদের বেহালার একটি নারী মহাবিদ্যালয়ে পড়েছিলেন মিঠু। কয়েক বছর আগে মিঠু মুখার্জির এক আত্মীয়ের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। তিনি জানান মিঠু মুখার্জি এখন ঘোর সংসারী। বেশি সময় পুজো পাঠ নিয়ে থাকেন। মিঠু মুখার্জির আছে একটি গোপাল ঠাকুর। তাঁর নিত্যপুজো করেন মিঠু। কলকাতার লেক গার্ডেন্সে থাকেন এখন মিঠু মুখার্জি।