রজত সেনগুপ্ত
খেলা থাকুক আর নাই থাকুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সাঁটানোয় তাঁর বিরাম নেই। অন্যরা নানা মুহূর্তের ছবি তুলে রাখেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। লাইক, কমেন্ট আশা করেন। তাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন বিরাট কোহলি–অনুষ্কা শর্মা। তাঁরা বোধ হয় ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন। দাম্পত্যের একান্ত ব্যক্তগত মুহূর্তও তাঁরা দিব্যি সাঁটিয়ে দেন।
সেই বিরাট কোহলির মেয়ে হলে তাকে নিয়ে যে হুড়োহুড়ি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। সবাই চাইবে সে নব্য ভিআইপির ছবি ছাপতে। বিরাটবাবু আবেদন করেছেন, তাঁদের সন্তানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যেন বজায় থাকে। হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তা। এমনকী, ডাক্তার বা নার্সরাও যেন ছবি তুলতে না পারেন, সেই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শোনা যায়, সবাইকে নাকি মোবাইল জমা রেখে ঢুকতে হচ্ছে। অতি নিকট আত্মীয়রাও নাকি কেবিনে ঢুকতে পারছেন না।
কিন্তু প্রশ্ন হল, বিরাট নিজে সংযম দেখাতে পারবেন তো? যাঁরা সোশ্যাল সাইটে ছবি না ছাড়লে হাসফাস করেন, তাঁরা মেয়ের ছবি ছাড়বেন না! এটা হতে পারে! হয়ত কিছুদিনের বিরতি। এই বিরতিটাও হয়ত স্ট্র্যাটেজি। হিসেব কষেই হয়ত ছবি ছাড়া হবে।
মোদ্দা কথা, শুরুতে হয়ত পাপারাৎজিরা ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি করবেন। তারপর আর কাউকে অপেক্ষা করতে হবে না। বিরাট–অনুষ্কা নিজেরাই একের পর এক ছবি ছেড়ে যাবেন। ছেলে শুয়ে আছে, মা পাশে বসে আছেন। ছেলেকে কোলে নিয়ে বাবা–মা। কত মুহূর্ত তৈরি হবে। পোজ দিয়ে দুজন মিলে কত ছবি তুলে যাবেন, তার হিসেব নেই। এমন প্রচারপ্রিয় বাবা–মায়ের সন্তানের গোপনীয়তা থাকতে পারে! অন্যদের কাছে সংযমের আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্নটা হল, বিরাট নিজে সেই সংযম দেখাতে পারবেন তো!