আমার তখন ক্লাস নাইন। পুজোর আগে বাবা বললেন পিসির বাড়ি যেতে। পিসির শাড়ি ও পিসেমশাইয়ের প্যান্ট শার্ট কেনার জন্য বাবা টাকা দিলেন। বললেন, যাওয়ার পথে ভাল কোনও দোকান থেকে কিনে নিতে।
আমি পিসির শাড়ি কিনলাম ঠিকই। কিন্তু পিসেমশাইয়ের জামা বা প্যান্ট কিনলাম না। মনে হল, পিসেমশাই তো আর আমাদের বাড়িতে খুব একটা আসে না। তাই তাকে দিলাম কিনা, বাবা জানতেও পারবে না। ঠিক করলাম, সেই টাকায় একটা মোবাইল কিনব।
সেটাই করলাম। লুকিয়ে লুকিয়ে সেই মোবাইল ব্যবহার করতাম। বাবা জানতেও পারেনি। পিসেমশাইকে যে জামা-প্যান্ট দিইনি, সেটাও বাবা জানতে পারেনি। হয়ত কোনওদিন জানতে পারবেও না। কারণ, সাত আট বছর পেরিয়ে গেছে। এখন আর কারও মনেও পড়বে না। কিন্তু আমার তো মনে আছে। তাই নিজে নিজে কষ্ট পাই। বাবাকে এখনও বলতে পারিনি। কোনও একদিন ভাবছি, স্বীকার করেই নেব। এই লেখাটাই যদি বাবার মোবাইলে লিঙ্ক হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে কেমন হয়!
রাজীব মিত্র, হরিদেবপুর
(স্মৃতিটুকু থাক। পাঠকের মুক্তমঞ্চ। আপনিও আপনার জীবনের নানা অনুভূতির কথা লিখে জানাতে পারেন। ই মেলে পাঠিয়ে দিন বেঙ্গল টাইমসের ঠিকানায়। ঠিকানাঃ bengaltimes.in@gmail.com)