রাজেশ দে
প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন, লালকেল্লা থেকেই ঘোষণাটা সেরে ফেলবেন। মিত্রোঁ, এই হল ওষুধ। এটা খেলেই আপনার আর করোনা হবে না। আমরাই বিশ্ব প্রথম, যারা এই ওষুধ তৈরি করল। বাকি সবাই আমাদের কাছ থেকে চাইছে।
কী জানি, হয়ত এর জন্যও নেহরু–গান্ধীদের টেনে আনবেন। বলবেন, নেহরু কখনও এই টিকা তৈরি করতে পারেননি।
কিন্তু তার আগেই অক্সফোর্ড বা রাশিয়ার ঘোষণা এসে গেল। আর গলা কাঁপিয়ে ভাষণটা সেভাবে দেওয়া হল না। তবুও বলেছেন, টিকা নাকি তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় আছে। দ্রুত বাজারে এসে যাবে। কম দামেই পাওয়া যাবে।
এটা কতটা সত্যি, কতটা হাততালি পাওয়ার চমক, তা নিয়ে সংশয়য় থেকেই যায়। টিকা আদৌ কতদূর, কে জানে! আগেই ফরমান জারি হয়েছিল, পনেরোই আগস্টের মধ্যে ওষুধের ব্যাপারে তাঁকে সব জানাতে হবে। যেন তিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করতে পারেন। দেশজুড়ে নানা কটাক্ষ ভেসে এল। বিজ্ঞান গবেষণা নিয়ে যে এরকম ফতোয়া দেওয়া যায় না, সেটা দেরিতে হলেও বুঝলেন। তাই চমক দেওয়ার নামে আস্ফালন তেমন ছিল না।
আমার আশঙ্কা অন্য। যেভাবে দ্রুত ওষুধ আনার কথা শোনানো হচ্ছে, তাতে এখন থেকেই নকল ওষুধের রাস্তা খুলে দেওয়া হচ্ছে না তো! দেখা যাবে, আসল ওষুধ বাজারে আসার আগেই নকল ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। সস্তায় লোকে সেই ওষুধই গ্রহণ করছে। এতে হীতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।