রাজ্যসভার জন্য ইট পেতে রাখলেন ওমপ্রকাশ

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুটি পদপ্রাপ্তি ঘটে গেল ওমপ্রকাশ মিশ্রর। দলের সর্বভরতীয় শিক্ষা সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল। সেইসঙ্গে তাঁকে নাকি দলের কোর কমিটিতেও নেওয়া হবে। বলাই বাহুল্য, এই দুটি পদের কোনওটিতেই তাঁর আগ্রহ নেই। এসবের জন্য তিনি তৃণমূলে আসেনওনি। তাঁর নাকি মনে হয়েছে, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মমতা ব্যানার্জির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। কেউ দলবদল করতেই পারেন। কিন্তু আবোল তাবোল বকলে শুধু নিজেকে খেলো করাই হয়। ওমপ্রকাশও কিছুটা তাই করলেন।

ধরেই নিলাম, তিনি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লড়াইয়ে মমতার পাশে থাকতে চান। খুব ভাল কথা। কীভাবে থাকতে চান? মিছিলে হেঁটে? সেমিনারে ভাষণ দিয়ে ? টিভির বিতর্ক সভায় ? আসল কথা হল, তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য হতে হবে। নিদেনপক্ষে বিধানসভায়। যদি তাও না হয়, অন্তত সরকারি কোনও কমিটির চেয়ারম্যান।লোকসভা ভোট এখনও পাঁচবছর। ততদিনে তৃণমূলের গ্রাফ কোন জায়গায় থাকবে, বলা মুশকিল। টার্গেট সামনের রাজ্যসভা। স্পষ্ট রফা হয়ত হয়নি। তবে তিনি নিশ্চিতভাবেই আশাবাদী।

omprakash mishra

রীতিমতো অঙ্ক কষেই শিবির বদল করেছেন। ২০২০ তে কার কার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ? এই রাজ্য থেকে মেয়াদ শেষ হচ্ছে যোগেন চৌধুরি, মনীশ গুপ্ত, মহম্মদ হাসান ইমরান, কেডি সিং, ঋতব্রত ব্যানার্জির। কেডি সিং নিশ্চিতভাবেই বাদ পড়ছেন। ইমরানেরও বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। হয়ত যোগেন চৌধুরিকেও বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাদ দেওয়া যাবে। অর্থাৎ ভ্যাকেন্সি তিনটি। তার মধ্যে প্রতীক বদলে ঋতব্রত হয়ত তৃণমূলের টিকিটে ফের রাজ্যসভায় যেতে পারেন। তারপরেও বাকি রইল দুটি। লোকসভায় যাঁরা পরাজিত, তাঁদের মধ্যে থেকেও কাউকে কাউকে পাঠানো হতেই পারে।অন্য দল থেকে আসা কাউকে পাঠানো হতে পারে। শেষমুহূর্তে ডিগবাজি দিয়ে আসা কাউকেও পাঠানো হতে পারে। গিজগিজ করা বুদ্ধিজীবীরা তো আছেনই।

ওমপ্রকাশের যোগদান আপাতত সেই জল্পনায় একটি নতুন নাম যোগ হল। বলা ভাল, এখন থেকেই রাজ্যসভার জন্য ইট পেতে রাখলেন। একটু হলেও চাপ বাড়ল ঋতব্রতর।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.