আজ ১৩ ডিসেম্বর শিবরাম চক্রবর্তীর জন্মদিন। তাঁকে আমরা হাসির লেখক হিসেবেই চিনি। কিন্তু হাসির লেখার আড়ালে থেকে গেছেন অন্য এক শিবরাম। যিনি একইসঙ্গে গোয়েন্দা–কাহিনীও লিখেছেন। তাঁর তৈরি কল্কেকাশি চরিত্রটি বেশ জনপ্রিয়। জন্মদিনে সেইসব অজানা কাহিনী তুলে আনলেন অন্তরা চৌধুরি।।
গোয়েন্দা চরিত্রের প্রতি বাঙালির একটা অদ্ভুত আকর্ষণ। সেই কারণেই বিভিন্ন সাহিত্যিক বিভিন্ন সময়ে তাঁদের লেখার মধ্যে দিয়ে এক-একজন গোয়েন্দার জন্ম দিয়েছেন। সেই গোয়েন্দা চরিত্রগুলো আজও মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। বাস্তবে তাঁদের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব কি না সেই নিয়ে পাঠকের কোনও মাথা ব্যথা নেই। আর এই সমস্ত গোয়েন্দা সাহিত্য নিয়ে যখন সিনেমা তৈরি হয়েছে, মানুষের কল্পনায় গড়া চরিত্রটি যখন সিনেমার পর্দায় বাস্তব রূপ পেয়েছে তখন তার জনপ্রিয়তা অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই ঘটে যায়। কোথাও কেউ খুন হয় কোথাও কারও বাড়িতে চুরি হয়। কারও বাড়িতে হুমকি চিঠি বা হুমকি ফোন আসে। কত মানুষের অপহরণ হয়। সেসব নিয়ে আমরা ড্রয়িং রুমে চা এর দোকানে, অফিসের করিডোরে কত আলোচনা করি। কাগজেও এসব নিয়ে ফলাও করে লেখা হয়। একটা কিছু ঘটলেই সারাদিন ধরে টিভি চ্যানেলে তার চর্বিত চর্বন চলে। তারপর নিজের নিয়মেই সেগুলো হারিয়ে যায়। শিরোনাম থেকেও হারিয়ে যায়, আমাদের ভাবনা চিন্তা থেকেও হারিয়ে যায়। চারপাশে আমরা এতকিছু দেখি, কিন্তু ক’জন সত্যিকারের গোয়েন্দা দেখেছি! ‘প্রাইভেট ডিটেক্টিভ’ শব্দ দুটো শুনেছি ঠিকই, কিন্তু ক’জন চোখে দেখেছি!
আসলে গোয়েন্দারাও আমাদের জীবনে অনেকটা কাল্পনিক চরিত্রই। আমরা ভাবি এটা যদি ফেলু মিত্তির হত, তাহলে কোন পথে এগোত। পাশের বাড়ির ওই অপহরণের ঘটনায় যদি ব্যোমকেশ বক্সীকে ডাকা হত, তাহলে তিনি কাকে কাকে জেরা করতেন। যদি কিরীটি রায় হতেন তিনিই বা কীভাবে সমাধান করতেন। বাংলার অধিকাংশ সাহিত্যিক ছোটদের নিয়ে অনেক লেখাই লিখেছেন। আর এই ছোটদের লেখা লিখতে গিয়ে অনেকেই কোনও না কোনও গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। ফেলুদা ব্যোমকেশদের আমরা চিনি ঠিকই, কিন্তু সেযুগের স্বপন কুমার থেকে শুরু করে এযুগের শবর- বাংলায় গোয়েন্দাদের তালিকা খুঁজে বের করতে গেলে তা নিশ্চিতভাবেই পঞ্চাশ ছাপিয়ে যাবে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে এত গোয়েন্দা গল্প লেখা হয় বলেই কি আমরা গোয়েন্দা গল্পের প্রতি এতখানি আসক্ত? না কি আমরা গোয়েন্দা গল্পের অনুরাগী বলেই লেখকরা এত গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করেন। আরও অনেক তর্কের মত এই তর্কেরও মীমাংসা নেই। দুদিকেই অনেক তথ্য ও যুক্তি মজুত রয়েছে। আসলে রবীন্দ্রনাথ যেমন সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর সৃষ্টির ডালপালা বিস্তার করেছেন, পরবর্তী সময়ের লেখকদের অনেকেই সেই রাস্তায় হেঁটেছেন। এখানে আমাদের আলোচ্য শিবরাম চক্রবর্তী। আপামর বাঙালি পাঠক তাঁকে ‘হাসির লেখক’ হিসেবেই চেনেন। কিন্তু তিনিও গোয়েন্দা গল্পের হাতছানিতে সাড়া দিয়েছেন। তিনিও নিজের মত করে গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। ফেলু মিত্তির বা ব্যোমকেশ যখন দিনের আলো দেখেনি সেইসময়ে তাঁর তৈরি করা গোয়েন্দা কল্কেকাশি বাঙালি পাঠককে গোয়েন্দা গল্পের স্বাদ এনে দিয়েছিল। মূলতঃ ছোটদের নিয়ে লেখা। সমাধানগুলোও হয়ত খুব জটিল মনে হবে না। কিন্তু সেইসময়ের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে এই গল্পগুলি যেন বিনোদনের নতুন দরজা খুলে দিয়েছিল। ছেলেরা যেমন পড়েছিল তেমন বড়রাও পড়েছিল। গোয়েন্দার বুদ্ধিও যেমন আছে, তেমনি শিবরামের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় হাসির আমেজও আছে। একই সঙ্গে যতটা গোয়েন্দা গল্প ঠিক ততটাই হাসিরও গল্প। এতবছর পর বিশ্লেষণ করতে বসে আরও একটা মৌলিক প্রশ্ন এসেই যায়। হাসির গল্পে গোয়েন্দার ছোঁয়া! না কি গোয়েন্দা গল্পে হাসির মিশেল? আগের প্রশ্নের মতই এ প্রশ্নেরও কোনও মীমাংসা নেই।
গোয়েন্দা গল্প মানেই শুধু টানটান উত্তেজনা নয়। গম্ভীর মুখে অপরাধীর পেছনে ছুটে বেড়ানোও নয়। পুরনো মিথকে ভেঙে যেন নতুন মিথ তৈরি করেছিলেন। গোয়েন্দা গল্পের মাঝেও একটা কমিক রিলিফ। বহু বছর পর যার প্রতিফলন দেখতে পাই জটায়ুর মধ্যে। সেখানে ফেলু মিত্তিরের মগজাস্ত্র যেমন ধারালো, তেমনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল আমাদের লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ু। এই জটায়ু চরিত্রের বীজ বোধহয় তার অনেক আগে তৈরি করে গিয়েছিলেন রসরাজ শিবরাম।
এ প্রসঙ্গে শিবরামের একটি উক্তি এখানে উদ্ধৃত করা যেতে পারে-
“… সার্কাসের ক্লাউন যেমন। সব খেলাতেই ওস্তাদ, কিন্তু তার দক্ষতা হোলো দক্ষযজ্ঞ ভাঙার। সব খেলাই জানে, সব খেলাই সে পারে, কিন্তু পারতে গিয়ে কোথায় যে কী হয়ে যায়, খেলাটা হাসিল হয় না; হাসির হয়ে ওঠে। আর হাসির হলেই তার খেলা হাসিল হয়…।”
গোয়েন্দা হল সেই ইন্দ্রজাল যাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়। তবে বাংলা সাহিত্যে বাঙালি ব্যতীত গোয়েন্দাকে এনেছিলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। ১৯২৮ সালে ‘রামধনু পত্রিকায় তাঁর জাপানি গোয়েন্দা হুকাকাশির আবির্ভাব ‘পদ্মরাগ’ উপন্যাসে। এই হুকাকাশির দ্বারা প্রভাবিত হয়েই শিবরাম চক্রবর্তী তাঁর কল্কেকাশিকে তৈরি করেছিলেন। ইনি বোধহয় সবথেকে হাস্যরসাত্মক গোয়েন্দা চরিত্র। তবে শিবরামের বেশ কিছু গল্পে রয়েছে মার্ক টোয়েন বা জেরোম কে জেরোম-এর ছাপ। যদিও গল্পের শৈলী এবং বাচনভঙ্গী শিবরামের নিজস্ব। তিনি নিজেই এ প্রসঙ্গে বলেছেন-
“একটু আধটু চুরি-চামারি না করলে কেউ বাঁচতে পারে না। এই দুনিয়ায় বোধহয় বাঁচাই যায় না একদম, অন্তত আমি তো পারিনি মশাই। আমার কথা যদি কই, মার্ক টোয়েনের থেকে চুরি করে আমার হাসির লেখার হাতেখড়ি-আমি লেখক হই।”
গল্পের নাম ‘কল্কেকাশির কাণ্ড’। শিবরাম কল্কেকাশির যে বর্ণনা দিয়েছেন তা এককথায় অসাধারণ। কোরিয়া থেকে আগত একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা। তাঁর বিশাল চেহারা। কামস্কাটকার লোক হলেও তিনি পরিষ্কার বাংলাতেই কথা বলেন। বাংলা, হিন্দী, উড়ে এবং বেশ কিছু জানোয়ারের ভাষাও তাঁর ভালভাবেই আয়ত্ত করা আছে। তবে কামস্কাটকার ভাষায় দখল আছে কি না সেই নিয়ে লেখক একটু সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই গল্পে তিনটি প্রধান চরিত্র-কল্কেকাশি, কলকাতার বিখ্যাত গোয়েন্দা প্রফুল্ল যার মুখে প্রফুল্লতার চিহ্ন নেই এবং ক্রিমিনাল সমাদ্দার যিনি কল্কেকাশির পূর্বপরিচিত। এই সমাদ্দারের বর্ণনা দিয়েছেন লেখক এইভাবে-
‘ওর নাম হচ্ছে সমাদ্দার, ওরফে সমরেশ ঠাকুর, ওরফে গোপাল হাজরা, ওরফে নটেশ্বর রায়, ওরফে পোড়া গণেশ, ওরফে আরো এক ডজন।’
ঘটনার সূত্রপাত একটি নমিনেশন পেপারকে কেন্দ্র করে। দুটি দল-‘ফ্লু-প্লুকস ফ্যান’ যার পাণ্ডা মিস্টার ব্যানার্জী; আর একটি হল ‘বাই হুক আর ক্রুক’ যার পাণ্ডা মিস্টার সরকার। মিস্টার ব্যানার্জীর ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে এসে পৌঁছনোর কথা। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনায় তিনি বিলেতে আটকে গেছেন। তাঁর সই করা নমিনেশন পেপার এয়ার মেলে আগের বিকেলে বোম্বে পৌঁছে গেছে। সেটি তাঁর অ্যাটর্নি গলস্টোন কোম্পানির জিম্মায় আছে। সেই নমিনেশন পেপার যথাস্থলে পৌঁছে দেবার ভার পড়েছে এই দুই গোয়েন্দার ওপর। এই নিয়েই ঘটনার ঘনঘটা চলে সমগ্র গল্প জুড়ে। প্রফুল্ল নিজের সম্মান বাঁচাতে মরিয়া হয়ে নমিনেশন পেপার নিজের কাছে সযত্নে রাখে। কিন্তু সেটি সমাদ্দারের হস্তগত হয়ে যায়। কিন্তু কল্কেকাশির কাছে এই ক্রিমিনাল এবং কলকাতার এই গোয়েন্দা নিতান্তই নস্যি। এরা যদি চলে পাতায় পাতায় তো কল্কেকাশি চলে শিরায় শিরায়। অবশেষে তার বুদ্ধিমত্তায় নমিনেশন পেপার ঠিকঠাক জায়গায় সময়মতো পৌঁছে যায়।
এই গল্পে শিবরাম কল্কেকাশির মধ্যে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার ছাপ রেখেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে কল্কেকাশির জ্ঞান এবং পারদর্শিতা, তাঁর তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আমাদের আকৃষ্ট করে। কল্কেকাশিকে নিয়ে শিবরাম আরও যদি গল্প লিখতেন তাহলে কল্কেকাশি যে পাঠক সমাজে আরও অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করত তা বলাই যায়।
শিবরাম সৃষ্ট আরেকটি গোয়েন্দা চরিত্র হল ভর্তৃহরি। কাজের অল্প একটুখানি অবসরে ডিটেকটিভ শ্রীভর্তৃহরি গোলদিঘির পাশে পার্কের বেঞ্চে বসে আত্মসমীক্ষা করেছিলেন। ‘তোমার হাতে নাই ভুবনের ভার’-রবি ঠাকুরের এই আপ্তবাক্যে তিনি মোটেও বিশ্বাসী নন। তিনি মনে করেন তাঁর উপরেই যাবতীয় অসাধু কাজের কিনারা করার ভার দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন-
‘উঃ! কোথাও যদি একটু স্বস্তি রয়েছে। ডিটেকটিভদের জন্যে যদি শান্তি থাকে কোথাও। সব জায়গাতেই বদলোকের ভিড়-প্রায় সব ব্যাপারেই চক্রান্ত-সমস্ত কিছুর সঙ্গেই গোলমাল বিজড়িত। একদণ্ড যে নিশ্চিন্তে কোথাও বসে একটু বিশ্রাম উপভোগ করবেন তার যো কি!…কিন্তু তিনি আর কী করবেন, কত করতে পারেন একলা? বিশ্বশুদ্ধ সবাই বদমাইশ, আর তিনি একটি মাত্র সৎ ডিটেকটিভ আর কজনাই বা আছে? এই ধরাধামে আসামী ধরার ধান্দায়?
নিজের প্রতি এতটা আস্থা আমাদের একটু বেশিই বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়। কিন্তু ঘটনার ঘনঘটায় সেই খারাপলাগাটুকু কর্পূরের মত উবে যায়। ইনি যথেষ্ট সতর্ক ও আত্মবিশ্বাসী। পার্কে বসে থাকাকালীন এক যুবক নানারকম গল্প ফেঁদে তাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে। প্রথমটায় তিনি ছেলেটির পাতা ফাঁদে পা দেননি। মানুষের শুভবোধের ওপর তাঁর অগাধ আস্থা। তবে ছেলেটি যে গল্প ফেঁদেছিল তার মধ্যে দ্রুত বদলে যাওয়া সমাজের চালচিত্র ধরা পড়ে। ছেলেটি কলকাতায় এসে তাঁর বন্ধুর বাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখে যে সেখানে বাড়ি নেই। তার বদলে সেখানে একটি সিনেমা হল তৈরি হচ্ছে। ভর্তৃহরির ভাবনায়-
‘আজ যেখানে ডাইংক্লিনিং ছিল, কাল দেখবে সেখানে চায়ের দোকান। বেমালুম রেস্তোরাঁ বনে গেছে। তার কদিন পরে যাও, দেখতে পাবে, রাতারাতি রেস্তরাঁ বদলে হেয়ারকাটিং সেলুন! নাপিত খচ খচ করে কাঁচি চালাচ্ছে। চুল ছাঁটবার নামে রগ ঘেঁষে তার পকেটের ওপরেই! আর কিছু না, এসব জোচ্চুরি ব্যাপার। অসাধু লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে বেজায়! তোমার যথাসর্বস্বই জলে-তাঁরা দয়া করে লালবাতি জ্বেলে বসে আছেন! যে যা পাচ্ছে, যেখানে পারছে, যাকে পাচ্ছে, অপরের মেরে ধরে নিয়ে সটকে পড়ছে! লোক-ঠকানো ব্যাবসা আর কি!’
শ্রী ভর্তৃহরি ছেলেটির পাতা ফাঁদে প্রথমে পা না দিলেও যুক্তি ও কল্পনার সূত্র ধরে ফাঁদে পড়েই যান শেষমেশ। আর তাঁর সেই অনবদ্য বিচার পদ্ধতির মাধ্যমেই প্রকৃত ভালো মানুষটিকে তাঁর সর্বস্ব লুঠ করে হাতকড়া পরিয়ে কপর্দকশূন্য অবস্থায় রাস্তায় নামিয়ে দেন।
গল্পের শুরুতে যে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন গোয়েন্দার পরিচয় আমরা পেয়েছিলাম তাঁকে এত অসহায়ভাবে নাকাল হতে দেখে আমরা মর্মাহত হই বৈকি। এহেন একটি গোয়েন্দা চরিত্র শেষ পর্যন্ত কমিক চরিত্রে পরিণত হয়েছে। সাধারণভাবে কোনও গোয়েন্দাকে হেরে যেতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত নই। কিন্তু এখানে শিবরাম ভর্তৃহরির মধ্যে দিয়ে দেখালেন যে শুধু মাত্র ধারণার ওপর নির্ভর করে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে নেই। আমরা ভাবি, গোয়েন্দাদের বোধ হয় কোনও ভুল হয় না। তারা ঠিক উত্তর মিলিয়ে দেবেন। কিন্তু এই প্রচলিত সুরটা যেন অন্যরকম শোনায় শিবরামের গোয়েন্দা গল্পে এসে। এখানে তিনি দেখিয়েছেন, গোয়েন্দাও একজন রক্তমাংসের মানুষ। তাঁরও ভুল হয়। তবে, মনে রাখতে হবে, এই গল্পগুলি যখন লেখা হয়, তখনও বাংলা সাহিত্যে তেমন জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ছিল না। বলা যায়, একটা মডেল তৈরি করেছিলেন শিবরাম। পরবর্তীকালে গোয়েন্দা গল্পকে নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। প্রতি দশকেই নতুন নতুন গোয়েন্দার আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু কোথাও একটা আলো দেখিয়েছিলেন শিবরাম, যা অনেকটা আড়ালেই থেকে গেছে।