শুধু নতুন ছবির আলোচনা নয়। পুরনো ছবিকেও ফিরে দেখা। সেই নস্টালজিয়াকেই উস্কে দিচ্ছে বেঙ্গল টাইমস। বিষয়: আমার প্রিয় ছবি। মন ছুঁ্য়ে যাওয়া এক ছবি ‘ছোটি সি বাত’। স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটলেন সন্দীপ লায়েক।।
নাম না জানা সিনেমাটা যখন দেখেছিলাম তখন সদ্য ঠোঁটের ওপরে হাল্কা গোঁফের রেখা দেখা দিচ্ছে। স্কুলের সুন্দরীরা মনের ভেতরে ঝংকার তুলে যাচ্ছে হামেশাই।
সিনেমার গল্পটা ছিল মিঠেকড়া, কিন্তু শুরুটা দেখতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। গোবেচারা হিরোটার উপর বড্ড মায়া পড়ে গিয়েছিল তখনই। লোকটা ঠিক যেন আমি ও আমার বন্ধুগুলোর মতো.. ভালোবাসার কথা বলতে গেলেই একদম ক্যাবলা হয়ে যায়।
অন্যদিকে স্মার্ট দুষ্ট একজন পুরুষ, নায়িকাকে সঙ্গ দেয় যখন-তখন, আর বেচারা হিরোর মনোকষ্ট বাড়াতে থাকে। ব্যাকুল নায়ক, নায়িকাকে পাওয়ার জন্য লড়ঝড়ে মোটরবাইক থেকে জোচ্চোর সাধুবাবা..সমস্ত টোটকা কাজে লাগায়।
সবশেষে নানাপথ ঘুরে, নানা পথ এঁকে বেঁকে লাভগুরু অশোক কুমারের কাছে দীক্ষা ও জীবনে জবরদস্ত এক মোড় নেওয়া। সিনেমার মধ্যিখানে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র ও হেমা গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স দিয়ে যান। সবশেষে ভালোবাসায় হয় মোক্ষলাভ।
নাম নাজানা অসাধারণ ওই সিনেমাটি সে–সময় কচি মনে একটি বড় দাগ দিয়ে চলে গিয়েছিল। নানান জায়গায় সেটি খুঁজেছি, দু একটি ঝলক অনেককে শুনিয়েওছি। কিন্তু কোথাও পাইনি।
সবশেষে টেলিভিশনে একদিন সিনেমাটির একটি অংশ দেখি ও নামটি পেয়ে যাই। সিনেমার নাম –‘ছোটি সি বাত’।
সিনেমার গোবেচারা নায়ক অমল পালেকর ও নায়িকা বিদ্যা সিনহা ও দুষ্ট সহচরের ভূমিকায় ছিলেন আসরানি।
তারপর সিনোমটির অরিজিনাল ভার্সন জোগাড় করতে কষ্ট হয়নি এবং চিরস্থায়ী ভাবে মন ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে শোভা পায়। দেখতে বসলেই না বলা ‘ছোটি সি বাত’ গুলি নতুন করে ফিরে পায় তাদের সজীবতা।
(আমার প্রিয় ছবি। বেঙ্গল টাইমসের পরিচিত একটি ফিচার। সিনেমার আলোচনা মানে শুধু টাটকা সিনেমা নয়। মনে দাগ কেটে যাওয়া পুরোনো সিনেমার কথাও উঠে আসতে পারে। তেমনই এক ছবির স্মৃতিচারণ। চাইলে আপনিও আপনার প্রিয় ছবির কথা লিখতে পারেন। পাঠিয়ে দিন বেঙ্গল টাইমসের ঠিকানায়। )