কলকাতার নামী অর্থোপেডিক সার্জেন। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। কিন্তু একইসঙ্গে প্রচন্ড ক্রীড়াপাগল। তাই ঠিক করেছেন, ছোট ক্লাবের ফুটবলারদের নিখরচায় চিকিৎসা করবেন। এমনই এক চিকিৎসক ডা. ঋত্বিক গাঙ্গুলি। খেলাধুলো নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা জেনে নিলেন কুণাল দাশগুপ্ত।।
আপনি তো অর্থোপেডিক সার্জেন। ক্রীড়া চিকিৎসায় এলেন কেন?
ঋত্বিক: আসলে, আমি চিরকালই খেলাধুলোর ভক্ত। ফুটবল, ক্রিকেট দুটোতেই উৎসাহ ছিল। ছাত্রজীবনে খেলা মিস করতাম না। টিভি, রেডিও তো ছিলই। সুযোগ পেলেই মাঠে চলে যেতাম। ফুটবলটা একটু বেশি পছন্দের। তবে কোনও বিশেষ ক্লাব নিয়ে উগ্রতা নেই।
প্রশ্ন: অর্থোপেডিক সার্জেন হিসেবে যখন নামডাক করেই ফেলেছেন, একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরও। সেক্ষেত্রে আপনার খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত হলে সমস্যা হবে না?
ঋত্বিক: আশা করি, হবে না। আর যদি বা হয়, তাহলে সেটা মানিয়ে নেব। কারণ, ফুটবলে ইনজুরি থাকেই। তার উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে ফুটবলারের তো বটেই, পরোক্ষে রাজ্য বা দেশেরও ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন: আপনার লক্ষ্য কি ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের মতো ক্লাবগুলো?
ঋত্বিক: না, একেবারেই তা নয়। ওরা বড় ক্লাব। ওদের ফুটবলারদের জন্য অনেক চিকিৎসক আছেন। টাকারও অভাব নেই।
প্রশ্ন: তাহলে?
ঋত্বিক: আমি ছোট ক্লাবগুলোর কথা বলছি। ছোট ক্লাব মানে সিনিয়র ডিভিশনের নিচের দিকের ক্লাব নয়, একেবারেই চতুর্থ, পঞ্চম ডিভিশনের কথা বলছি। ছোট ক্লাব হলে কী হবে। ওরাও তো আবেগ দিয়েই ফুটবলটা খেলে। আর কলকাতার ওই ধরনের মাঠ। চোট আঘাত তো লাগেই। আমার মনে হয়, ওদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।
প্রশ্ন: ঠিক কীভাবে?
ঋত্বিক: ছোট ক্লাবের কোনও ফুটবলারের চোট আঘাত হলে আমি তাকে বিনা পারিশ্রমিকে আমার চেম্বারে চিকিৎসা করব। আর যদি সার্জারি করতে হয়, তাহলে নামমাত্র খরচে তার ব্যবস্থা করে দেব। যাতে তার বা ক্লাবের কোনও সমস্যা না হয়।
প্রশ্ন: তাহলে ইস্ট–মোহন নিয়ে কিছু ভাবছেন না?
ঋত্বিক: বললাম তো, স্থানীয় ফুটবলারদের কথাই ভাবছি। বড় ক্লাবে বাঙালি আর কটা? আর আর্থসামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষদের নিয়েই কাজ করতে চাইছি। এটা করতে চাইছি ফুটবলটাকে ভালবেসে। একেবারেই রোজগারের জন্য নয়।