অনির্বাণ বিশ্বাস
নব্বই তখন ঢলে পড়েছে একানব্বইয়ের কোলে৷ আগের বছর যে গানটা প্রিলুড-ইন্টারলুড সহযোগে গাইতে পারতুম, তা তদ্দিনে পুরোনো। ‘সাঁসো কি জরুরত হ্যায় জ্যায়সে’ সরে গিয়ে জায়গা করে দিয়েছে ‘মুঝে নিন্দ না আয়ে’-কে। বুধবার টিভিতে চিত্রহার হলে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করি এ গানের জন্য। কখনও দেয়, কখনও দেয় না। অবশ্য কারেন্ট থাকলে তবেই, আমাদের মফস্বলি সন্ধেতে ঝুপ করে কখন যে লোডশেডিং নামবে, ঠিক তো নেই কোনও! তার মধ্যে শনিবার বাংলা ছবি, রবিবার হিন্দি ছবি আর কটা বাংলা সিরিয়াল- আমাদের মতো ফোর/ফাইভ দের এই তো সামান্য বিনোদন। খেলা দেখালে অবশ্য আলাদা কথা, কিন্তু সে বছর গোটা একানব্বই জুড়ে কিচ্ছু নেই, নিদেনপক্ষে একটা টেস্ট সিরিজও। গত বছর হয়েছে ইতালিয়া ৯০, সামনের বছর আছে বার্সিলোনা ১৯৯২- এমনই একটা সময়। এ ছাড়া কদিন পরই ভারত যাবে অস্ট্রেলিয়া টুরে, একেবারে বিশ্বকাপ খেলে ফিরবে। তারই মধ্যে, মাত্র ১৫ দিনের নোটিসে ভারতে খেলতে এল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই প্রথমবার।
ঠিক এক বছর আগে, ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর নেলসন ম্যান্ডেলা এসেছিলেন কলকাতায়। ইডেন গার্ডেনে প্রায় এক লক্ষ লোক জড় হয়েছিল সেদিন। ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ গেয়ে অভ্যর্থনা করা হয়েছিল তাঁকে, ক্যালকাটা ইউথ কয়ার গেয়েছিল ‘জিন্দাবাদ ম্যান্ডেলা/ম্যান্ডেলা জিন্দাবাদ’। ঘটনাচক্রে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে তখনও দুটি বোর্ড, শ্বেতাঙ্গপ্রধান SACU আর মিশ্রিত SACB, ম্যান্ডেলার পৃষ্ঠপোষকতায় কিছুদিন পরই এরা মিলিত হয়ে গঠন করবে UCBSA (বর্তমানে Cricket SA), যার প্রেসিডেন্ট হবেন আলি বাখার। ভারত তখনও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফেরানোর প্রধান বিরোধী। ৯১ এর জুলাই মাসে বাখার গিয়ে ধরলেন জগমোহন ডালমিয়া-কে, ডালমিয়া বাখারকে পাঠালেন তৎকালীন বোর্ড সচিব মাধবরাও সিন্ধিয়ার কাছে, কেন্দ্রে তখন সদ্যনিযুক্ত কংগ্রেস সরকার, সিন্ধিয়া তার ক্যাবিনেট মন্ত্রী। প্রায় অসাধ্যসাধন ঘটালেন তিনি, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল তাঁরই দাক্ষিণ্যে। সরকারি বাধা আর রইল না যখন, ডালমিয়া বাখারকে নিয়ে গেলেন জ্যোতি বসুর কাছে। জ্যোতিবাবু স্বভাবসিদ্ধভাবে বাখারকে বললেন, ‘আপনারা কলকাতায় খেলতে আসছেন, তৈরি হোন।’ সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের গিঁট।
১৯৯১ এর ১০ নভেম্বর, দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষার পর শাপমুক্তি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের। ম্যাচ শুরুর আগের দিন কলকাতাজুড়ে টিকিটের জন্য হাহাকার উঠেছিল, ফলস্বরূপ কয়েক হাজার বিনা টিকিটের দর্শক ঢুকে পড়েছিলেন মাঠে। এই এক লক্ষেরও বেশি দর্শকের সামনে যে ১১ জন ইডেনের ঘাসে পা দিলেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখেননি কোনও দিন। একমাত্র ব্যতিক্রম কেপলার ওয়েসেলস। আগেই আন্তর্জাতিক খেলা হয়ে গেছে তাঁর, সেই ১৯৮৩-৮৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলেও গেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।
নটিংহ্যাম কাউন্টির লিজেন্ড ছিলেন অধিনায়ক ক্লাইভ রাইস। গোটা প্রথম শ্রেণীর কেরিয়ারে ঈর্ষনীয় গড় তাঁর- ২২.৪৯, উইকেট ৯৪৩ টি। তিনি তখনই বিয়াল্লিশ। ছিলেন স্টাইলিশ ওপেনার জিমি কুক, তিনিও তখন আটত্রিশ, ছিলেন ছত্রিশের ওয়ান-ডাউন ব্যাট পিটার কার্স্টেন (গ্যারির সৎ দাদা) আর পঁয়ত্রিশের মিডল অর্ডার ব্যাট অ্যাড্রিয়ান কুইপার- তাঁদের কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ বছরগুলো গিলে ফেলেছিল নির্বাসন। ক্রিকেট জীবনের উপান্তে এসে তাই দেশের হয়ে খেলতে নেমেছেন তাঁরা। দলে আরও ছিলেন অ্যান্ড্রু হাডসন, ব্রায়ান ম্যাকমিলান, ডেভ রিচার্ডসন, রিচার্ড স্নেল, টিম শ ও তিনি- আমরা সাদা বিদ্যুৎ বলে যাঁকে চিনব অদূর ভবিষ্যতে !
নীল টিন্টেড গ্লাস লাগানো, আমাদের সাদা কালো ওয়েবেল-নিকো টিভিতে দেখেছিলাম এ ম্যাচ। শিশিরের জন্য খেলা শুরু হয় দেরি করে, ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়ে যায় ৪৭। এক লক্ষ লোকের শব্দব্রহ্মের মধ্যে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন আজহার, এবং খুব যে ভুল করেননি তা প্রমাণ করে দেন কপিল দেব। দিনের প্রথম ওভারেই তাঁর অব্যর্থ আউট সুইং হাডসনের ব্যাটে ছোবল দিয়ে জমা পড়ে কিরণ মোরে-র গ্লাভসে। এর পর শ্রীনাথের ডেলিভারি যখন খুঁজে নিল কুক-এর প্যাড, দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ১৮-২। একটু আগেই নেমেছেন কেপলার ওয়েসেলস, একপ্রান্তে তিনি আস্থা দিচ্ছেন, অন্যপ্রান্তে কে? রাজুর ফ্লাইটেড ডেলিভারি বুঝতে না পেরে ফিরে গেলেন কার্স্টেন, দল ৪৯-৩। এরপর ওয়েসেলস আর অ্যাড্রিয়ান কুইপার দলকে দাঁড় করাচ্ছিলেন। ওয়েসেলস শেষ পর্যন্ত করলেন ৫০, কুইপার ৪৩। চতুর্থ উইকেটে যোগ হল ৬০ রান। তখনই শচীন তুলে নিলেন পথের কাঁটা ওয়েসেলসকে, দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৯-৪। শেষপর্যন্ত ৪৭ ওভারে তারা করল ১৭৭-৮, জেতার জন্য ভারতের লক্ষ্য ১৭৮।
সে দিনটা ছিল রবিবার। যতই তালেবর হয়ে উঠি না কেন, সকালবেলা পড়তে বসতেই হয়। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার সে ইনিংস আমি পুরোটা দেখিনি। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হবে দুটো নাগাদ, সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই দেড়টার পর থেকেই বান্দা হাজির টিভির ঘরে। ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ফার্স্ট ডেলিভারি থেকে দেখতেই হবে! ইতিমধ্যে গ্যালারি জুড়ে ফুরফুরে ভাব, তুলেছে তো মাত্র ১৭৮, সকালে শিশির ছিল বটে, কিন্তু এখন পিচ অনেক সহজ। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ‘কে আগে প্রাণ/করিবেক দান’ না করলে এ রান তোলা ব্যপার না কি? কিন্তু তখনও তাঁরা জানতেন না ভবিষ্যৎ।
শাস্ত্রী আর সিধু ব্যাট করতে নেমেছেন ততক্ষণে, ওদের ক্যাপ্টেন বল ছুঁড়ে দিয়েছে বোলারকে, কিন্তু এটা কে রে? নাকে-মুখে কী মেখেছে ওটা? ছোড়দি ফিসফিস করে বলে উঠল, “শ্বেতি আছে নাকি?” তাতে পাড়ার কাকু এক বকা দিয়েছেন ইতিমধ্যে। তিনিও কিন্তু জানেন না জিনিসটি কী, ‘কোনও পাউডার-টাউডার হবে’ বললেন শুধু। হাইকোর্ট প্রান্ত থেকে লোকটা রান আপ নিচ্ছে, পিছনে চেঁচাচ্ছে গোটা ইডেন, প্রথম বল অফস্টাম্পের বাইরে, শাস্ত্রী ছাড়লেন। দ্বিতীয় বল, ব্যাকফুটে যাবার চেষ্টা করতে করতে কোনও মতে ঠেকালেন। ওভারের পঞ্চম ডেলিভারি করতে আসছে লোকটা, সাদামুখের উপর শীতল চাহনি, দেখে মনে হচ্ছে স্বয়ং মৃত্যু, আউটসুইঙ্গার, শাস্ত্রী ব্যাট বাড়ালেন, এবং আউট! প্রায় প্রথম স্লিপের কাছ থেকে ক্যাচটা গ্লাভসবন্দি করলেন ডেভ রিচার্ডসন, ভারত ১/১। দর্শক এইখানে একটু অস্বস্তিতে পড়েছেন, খাতায় কলমে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। আছেন সিধু, আছেন মঞ্জরেকর, আছেন আজহার। প্রবীণ আমরে বলে বোম্বের একটা নতুন ছেলে খেলছে এবার, এছাড়া কপিলও আছেন। তবে সবচাইতে ভরসার যায়গা ওই ১৮ বছরের ছোকরা শচীন, মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলে এ অনেক দূর যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওই ঠান্ডা চাহনির বোলারটা এলেই অস্বস্তি হচ্ছে কেন? কারণটা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানলেন তিনি। মঞ্জরেকারের অফ স্টাম্প উড়ে গেছে ততক্ষণে, ভারত ৩-২।
একটু পরই শচীন নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে বাঁচলেন। লেগ সাইডে ড্রাইভ করেছিলেন সিধু, হাডসনের থ্রো মিড উইকেট থেকে যখন বোলার স্নেলের হাতে পৌঁছল, শচীন বোলিং ক্রিজের পাঁচ গজ বাইরে। এ অবস্থায় বল হাত থেকে ফেলে দিলেন স্নেল, ভারতের রান তখন ৯। ক্রিকেট দেবতা মুচকি হাসলেন খানিক। পনের মিনিটের মধ্যে ভারত ২০-৩, সিধু গেলেন ব্রায়ান ম্যাকমিলানকে ক্যাচ দিয়ে। প্রথম স্পেলে মরা মানুষের মতন দেখতে লোকটা নিয়েছে ৩-১০, ছয় ওভারে। ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ ওর সামনে ঠকঠক করে কাঁপছে। আজহার আর একটু হলেই যেতেন, তাঁর ভাগ্য ভাল ক্যাচটা নো-ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে পড়েছে। । কিন্তু অঘটন ঘটেই গেল কিছুক্ষণের মধ্যে। টিম শ-এর বাঁহাতি অর্থোডক্স তুলে নিল আজহারকে, ভারত ৬০-৪। আগেই ক্রিজে নেমেছেন শচীন, চতুর্থ উইকেট পতনের পর তাঁর সঙ্গী হলেন প্রথম ম্যাচ খেলতে আসা আমরে। ব্রায়ান ম্যাকমিলানকে স্কোয়ার কাটে চার মারলেন সচিন, রিচার্ড স্নেল-কে কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি। টালমাটাল সমুদ্রে থিতু করলেন দলের নৌকা, করলেন ৭৩ বলে ৬২। ২৪ ওভার হয়ে গেছে ভারতের ইনিংসের বয়েস, রাইস ফের বল তুলে দিলেন তাঁকে। ওভারের চতুর্থ বলেই এতক্ষণ ভরসা দিয়ে আসা শচীন লোপ্পা ক্যাচ তুললেন মিড অনে, স্নেল এবার আর ভুল করেননি। ভারত ১১৬-৫, এবং ম্যাচে ফিরে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রবীণ আমরে শেষের দিকে চালিয়ে খেলে করলেন ৭৪ বলে ৫৫, এই দুজনের জন্যই তিন উইকেটে জিতল ভারত। সেই বোলারও বসে নেই অবশ্য, তৃতীয় স্পেলে ফিরে আমরেকে ক্লিন বোল্ড করলেন তিনি। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে ততক্ষণে।
পরে জেনেছিলাম, মড়ার মুখের মতো ওই বোলারটির নাম অ্যালান ডোনাল্ড, মুখে উনি জিঙ্ক অক্সাইড মাখেন বলে ওরকম দেখায়। আর একটু বড় হয়ে জেনেছিলাম ওয়ারউইকশায়ারকে সে মরশুমে তিনি প্রায় একার হাতে কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন করেন। ম্যাচ শেষ হবার পর সাংবাদিকদের কাছে ক্লাইভ রাইস বলেছিলেন, ‘তাজমহল নয়, আমরা শচীনকে চাই’। সে খবর ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কেউ শচীনকে জানালে, তিনিও মজা করেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরাও তো ডোনাল্ডকে চাইতে পারি!’ দুজন যৌথভাবে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন সে যাত্রা, একানব্বইয়ের পর থেকে ক্রিকেট আরও একটু উর্বর হয়েছিল দু জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেই নাটকীয় সেমিফাইনালে, তাঁর রান আউটই জিতিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। ২০০৩ সালে যখন অবসর নেন, ততদিনে টেস্টে তাঁর ২২.২৫ গড়ে ৩৩০ উইকেট, ওডিআইতে ২১.৭৮ গড়ে ২৭২ টা। তিনি ব্যাটটা একটু ঠিকঠাক করতে পারলে আজ বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাস হয়ত অন্যরকমভাবে লিখতে হত, এমন দাবি করেন অনেকে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, ফাস্ট বোলারের ব্যাট করতে জানার বিশেষ প্রয়োজন নেই। লারউড ভাল ব্যাট করতেন না (টেস্টে একটি ৯৯ আছে যদিও), লিন্ডওয়াল, লিলি, মার্শাল, গার্নার, অ্যামব্রোজ, ওয়ালশ- কে ভাল ব্যাট করেছেন তাঁদের কেরিয়ারে? ব্যাটসম্যানকে চোখের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে বল করে, তাঁর অহং থাকবে না? থাকবে না ক্রোধ, ক্ষোভ, ঘৃণা? তবে না সেগুলি ছিটকে বেরিয়ে আসবে ডেলিভারি হয়ে, খুঁজে নেবে ব্যাটসম্যানের শরীর? কোনও ওপেনিং ব্যাটসম্যানকে ভাল বল করতে পারে না বলে উষ্মা শুনতে হয়কি কখনও?
ইদানিংকার নেকুপুষু টি-টোয়েন্টির যুগে সত্যিকার ফাস্ট বোলারদের আমরা হারিয়েছি। উইকেট নেবার বদলে, কম রান দিতে অভ্যেস করিয়েছি তাঁদের। ডোনাল্ড ছিলেন পূর্ববর্তী প্রজন্মের শেষ প্রতিনিধি।
প্রথমবার ইডেনে নেমে, গ্যালারির উদ্দেশ্যে জোড়হাতে প্রণাম করেছিলেন রাইস। বলেছিলেন ‘নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে নেমে কী ভেবেছিলেন, তা আজ আমি বুঝছি’। সেই ১০ নভেম্বর, ১৯৯১ ভারতের ইনিংসে ডোনাল্ডকে দেখার পর আমিও কিছু কিছু বুঝি বই কি! আজ ত্রিশ বছর পরও, দক্ষিণ আফ্রিকার কথা উঠলেই তাই চোখের সামনে চলচ্ছবির মতো ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য, জিঙ্ক অক্সাইড মেখে লোকটা দৌড় শুরু করেছে হাইকোর্ট প্রান্ত থেকে৷ আর ধীরে ধীরে শ্মশানের স্তব্ধতা নেমে আসছে ইডেনের ওপর।
বিদ্যুৎ খালি অন্ধকার আকাশেই খেলে না, সবুজ ঘাসের উপরও খেলে যে!