বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: কাগজে কলমে মাঠে দর্শক পঞ্চাশ হাজার। অথচ গ্যালারিতে মেরেকেটে তিরিশ হাজার। আসন্ন যুব বিশ্বকাপে যদি এমন হয়ে থাকে, অবাক হবেন না। আপনি টিকিট কাটতে গিয়ে হয়ত টিকিট পাবেন না, বলা হবে সব টিকিট বিক্রি। অথচ, মাঠ অর্ধেক খালি থেকে যাবে।
কীভাবে সম্ভব? অনলাইন টিকিটের সুবাদে। ধরা যাক, আপনি আইটি সেক্টরে চাকরি করেন। বা অন্য কোনও চাকরি করেন। বা থাকেন দূরবর্তী জেলায়। ফুটবলে একটু আধটু আগ্রহ আছে। স্ট্যাটাস বজায় রাখার তাগিদও আছে। অনলাইন সিজিন টিকিট কেটে নিয়েছেন। অর্থাৎ, একটা টিকিটেই সব ম্যাচ দেখার সুযোগ। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, আপনি কদিন যেতে পারবেন? চাইলেই কি অফিস থেকে ছুটি পাবেন? সব ম্যাচ দেখতে পারবেন? ধরুন আপনি থাকেন পুরুলিয়া বা মুর্শিদাবাদে, সব কটা ম্যাচ দেখতে আসতে পারবেন? অর্থাৎ, আপনার টিকিট কাটা রইল, কিন্তু আপনি খেলা দেখতে এলেন না।
চাইলে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ দর্শকই সেটা করবেন না। কারণ, আপনি রামকে দ্বিতীয় দিন দিলেন। তারপর তার কাছ থেকে সেই টিকিট আদায় করা বেশ কঠিন। সে নিজের দর বাড়াতে হয়ত একদিন শ্যামকে দিয়ে দিল। বা রাম একদিনে সন্তুষ্ট নয়, সে আরও তিনদিন চেয়ে বসল। সে অনেক হ্যাপা। এসব ভেবে আপনি কাউকেই টিকিট দিলেন না। আপনার কাছেই রেখে দিলেন। তার মানে, কাগজে কলমে আপনি খেলা দেখছেন, কিন্তু বাস্তবে দেখছেন না। এমনকি আপনার টিকিট নিয়ে অন্য কেউ দেখছে না।
ফলে, যদু টিকিট কাটতে গিয়ে শুনবে, টিকিট বুক হয়ে গেছে। সে টিকিট পাবে না। এদিকে, গ্যালারি অর্ধেকও ভরল না। এমনটা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।