সন্দীপ লায়েক
বিচার পক্রিয়া যেহেতু শেষ হয় নাই, উদয়নদা লোক হিসাবে খারাপ একথা হলফ করে বলিতে পারি না। খবর অনুযায়ী তিনি এখন অব্দি মাত্র তিনজন-আপন পিতা, মাতা ও স্ত্রী কে খুন করিয়াছেন। তা বেশ করিয়াছেন, নিজের লোকদের জীবন নিয়ে উনি যা খুশি করিতেই পারেন–তুমি বলিবার কে হে বাছা? কে আর বেঁচে থাকে চিরকাল? মরিতে তো মানুষকে এমনিতেই হয়!
কবি তো অলরেডি বলেই গেছেন—জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কি কথা কবে…
তাও ইনাদের মৃত্যুর একটা বলিষ্ঠ হেতু থাকিল- আপনজনের জন্য জীবন বলিদান করিয়াছেন! কেও অন্তত বলিতে পারিবে না যে রোগে-ভোগে মরিয়াছে, বিষ মদ খাইয়া মরিয়াছে, দুটাকার চাল না খাইয়া মরিয়াছে বা নীল সাইকেল না পাইয়া আত্মহত্যা করিয়াছে।
তা এমন গুণী মানুষের জীবনী মুখস্থ করা সধারন মানুষের একান্ত কর্তব্য। তিনি কি খাইতেন, কি পারিতেন, হেঁচকি উঠিলে কিভাবে ম্যনেজ করিতেন, পটি ক্লিয়ার না হইলে কি যোগাসন করিতেন ইত্যাদি না জানিলে রাত্তিরে ঘুমের ওষুধ কাজ করিবে এমন নিশ্চয়তা কে দিতে পারিবে?
তাছাড়া দাদা দিদিদের পয়সাতেই আজকাল কাগজ ছাপা হয় বাপু…আপনি জানেন না সেটা আপনার সমস্যা। তাই রাজনীতি বলিউড ক্রিকেটের দই মিষ্টি পাঁপরের সঙ্গে উদয়ন বাবুদের রান্নাকরা একটু চাটনি গার্নিস করিয়া, প্রত্যহ পরিবেশন না করিলে পাঠকদের তৃপ্তির ঢেঁকুর উঠিবে না তা তারা ভালভাবেই অবিহিত আছেন।
এই তো কিছুদিন আগে ধনঞ্জয়দার মুখটা জেলের পোস্তবড়া খাইয়া কেমন শুকাইয়া গিয়াছিল ভাবিতেও মায়া লাগে! এ বেচারার জন্য জেলে কেমন রান্না হইবে জানিতে আজি হইতেই প্রাণ যেন আনচান করিয়া উঠিয়াছে!!!
যাইহোক পার্থবাবুর(মন্ত্রীবাবু নয়, কঙ্কাল বাবু) পর উদয়নদাকে ধন্যবাদ এমন একটি দুষ্টুমিষ্টি খবরে আসিবার জন্য।
মহাপুরুষদের জীবনী না হয় মাধ্যমিকের দশ নম্বরের জন্যই বরাদ্দ থাকুক …আপনাদের জীবনী আমরা হৃদয়ের অন্তঃপুরে রাখিব কথা দিলাম।

