স্মৃতিটুকু থাক
আমি তখন কলেজে পড়ছি। হাতখরচ তোলার জন্য টিউশনি পড়াতাম। পাড়াতেই একটি মেয়ে, ক্লাস ইলেভেনে পড়ত। তার বাড়ির লোক চাইতেন, আমি যেন তাকে টিউশনি পড়াই। রাজি হয়ে গেলাম। সন্ধেবেলায় তাকে পড়াতে যেতাম। অল্প কদিন যেতে না যেতেই একটা আকর্ষণ তৈরি হয়ে গেল। আমি খুব সিরিয়াস থাকি, সেটা সে চাইত না। বরং, আমি হালকা রসিকতা করলেই খুশি হত। মেয়েটিরও বোধহয় আমার সান্নিধ্য ভালই লাগত। একদিন ও কিছুটা ইঙ্গিত দিল।
পরেরদিন আরও স্পষ্ট করে বলল ওর অনুভূতির কথা। আমার অনুভূতিও যে একই খাতে বইছে। শুরু হয়ে গেল নতুন অধ্যায়। সন্ধের পড়ানো তো আছেই, সকালের মর্নিং ওয়াকেও দুজনের দেখা হত। এদিক–ওদিক যাওয়া শুরু হল। বাড়িতে বোধহয় কিছুটা আঁচ পেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও তেমন আপত্তি ছিল বলে মনে হয় না। এভাবেই বছর দেড়েক দিব্যি কাটল। তারপর কোনও একটি কারণে আমাদের সম্পর্কের সুর কেটে গেল। আজ সে অন্যের ঘরনি। তবু কেন জানি না, বারবার তার মুখটাই ভেসে ওঠে। সেই সুখস্মৃতিগুলো আজও তাড়া করে।
প্রশান্ত রায়, পাতিপুকুর
(মনে রাখবেন, ব্যর্থ প্রেমটাও কিন্তু প্রেম। আমাদের অনেকের জীবনেই এমন স্মৃতি নিশ্চয় আছে। চাইলে সেই অনুভূতির কথা এখানে মেলে ধরতে পারেন। তবে একটাই অনুরোধ, সেই সম্পর্ককে বা সেই প্রেমিকাকে ছোট করবেন না। সুখস্মৃতিটুকুই তুলে ধরুন।)