বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ তখন সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। মু্খ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিলেন, এবার ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীদের’ও বলছি, আপনারাও পথে নামুন। মুখ্যমন্ত্রীর হুকুম বলে কথা। গুটি গুটি পায়ে মিছিল করতে নেমে গেলেন বুদ্ধিজীবীরা। মূল কথা, সারদায় সিবিআই তদন্ত চলবে না।
এবার নির্বাচনী আবহ। আবার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, আমাদের বুদ্ধিজীবীরাও নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাবে। পরের দিনই হাজির হয়ে গেলেন তৃণমূলি বুদ্ধিজীবীরা। পরিচিত মুখদের মধ্যে সেই দলে ছিলেন সুবোধ সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, প্রতুল মুখার্জি, অভিরূপ সরকার।
তাঁদের দাবি, ‘রাজ্যে বেশ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। যেটুকু ঝামেলা হচ্ছে, সেটা যে কো্নও স্কুলে বা পাড়ায় হয়ে থাকে।’ তাঁদের আরও দাবি, নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের কথাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে শো-কজ করা ঠিক হয়নি।
সুবোধ সরকার, প্রতুল মুখার্জিরা না হয় যেতেই পারেন। কিন্তু অভিরূপ সরকারের মতো একজন সরকারি পদাধিকারি কেন দলীয় দাবি জানাতে গেলেন, তা নিয়ে নানা মহলেই প্রশ্ন। রাজ্য সরকার যে বেতন কমিশন গঠন করেছে, তার শীর্ষে আছেন অভিরূপ সরকার। রাজ্য পরিকল্পনা কমিশনেরও তিনি সদস্য। অর্থাৎ, তাঁর নামের সঙ্গে রয়েছে সরকারি তকমা। তিনি কেন এমন এক প্রতিনিধিদলে সামিল হলেন, তা নিয়ে নানা মহলেই প্রশ্ন উঠছে।