সবিনয় নিবেদন
দেখতে দেখতে বেঙ্গল টাইমসের দশ বছর হয়ে গেল। এই দশ বছরে, বিশেষ করে শেষ পাঁচ বছরে অন্তত দেড়শোখানা ই–ম্যাগাজিন দিনের আলো দেখেছে। কিন্তু তারপরেও যদি প্রশ্ন করা হয়, বেঙ্গল টাইমসের সবথেকে জনপ্রিয় বিভাগ কী? এককথায় উত্তর, নন্দ ঘোষের কড়চা।
কথায় আছে, যত দোষ, নন্দ ঘোষ। অর্থাৎ, সবাই তাঁর দোষ খোঁজেন। কিন্তু এখানে উল্টো। এখানে নন্দ ঘোষ বেরিয়ে পড়েছেন লোকের খুঁত ধরতে। রবীন্দ্রনাথ হোক বা নেতাজি, সৌরভ গাঙ্গুলি হোক বা সৃজিত মুখার্জি— নন্দ ঘোষের হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। একটা ইস্যু পেলেই হল। না পেলে, তিনি নিজেই তৈরি করে নেন।
একটা সময় রোজ দুপুর বারোটা নাগাদ নন্দ ঘোষের কড়চা আপলোড হত। পাঠকেরা অপেক্ষায় থাকতেন, আজ নন্দ ঘোষ কার ‘সুখ্যাতি’ করবেন! মানে, কার গুষ্টি উদ্ধার করবেন। রাজনীতি থেকে সাহিত্য, বিনোদন থেকে বাণিজ্য, পর্যটন থেকে খেলা। সর্বত্রই ছিল নন্দ ঘোষের অবাধ গতিবিধি। তিনি বোঝেন না, এমন কোনও বিষয় নেই।
দশ বছর উপলক্ষ্যে মনে হল, নন্দ ঘোষের সেই পুরনো কলামগুলো যদি ই–বুকের মোড়কে ফিরিয়ে আনা যায়! কিন্তু এত পুরনো লেখা, খুঁজে পাওয়াই তো মুশকিল। তাছাড়া, পরের দিকে নন্দ ঘোষের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কলামটাও কিছুটা অনিয়মিত হয়ে যায়। তখন প্রতিদিনের বদলে প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দিতে লাগলেন। নেই নেই করে সেই কড়চাও তিনশোর ওপরই হবে।
সবগুলো প্রকাশ করতে গেলে আস্ত এক অমনিবাস হয়ে যাবে। তাছাড়া, তখনকার সব লেখা এখন প্রাসঙ্গিকও নয়। যে ঘটনার ভিত্তিতে লেখা, সেই ঘটনাই মানুষের স্মৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। ফলে, এখন সেইসব লেখার সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করা কিছুটা কঠিনই হবে। পাঠকের স্মৃতির ওপর এতখানি চাপ দেওয়াও ঠিক নয়।
তাই, প্রথম কিস্তিতে আপাতত একডজন লেখা হাজির করা হল। প্রায় সব লেখাই ২০১৫–১৬ এই সময়ের। নন্দ ঘোষ নিয়ে এমন সংকলন কতগুলো বেরোবে, এখনই বলা মুশকিল। ঝাড়াই বাছাই করেও গোটা দশেক তো হতেই পারে। আপাতত শুরু তো হোক। ই–বুকের কলেবর বেশি হলে পড়ার ধৈর্য থাকে না। তাই, সচেতনভাবেই এই কলেবর একশো পাতার নিচেই রাখা হল।
পরের কিস্তি কখন? অপেক্ষায় থাকুন, হয়তো দিন দশেকের মধ্যেই।
বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: কাউকে অসম্মান করার জন্য এই কড়চা নয়। এই কলামটি ছিল নিছক মজার একটি কলাম। এগুলিকে মজার লেখা হিসেবেই দেখুন।
স্বরূপ গোস্বামী
সম্পাদক
বেঙ্গল টাইমস
*****
ই–বুকের ওয়েব লিঙ্ক নিচে দেওয়া হল। এখানে ক্লিক করলেই বইটি খুলে যাবে।
https://bengaltimes.in/wp-content/uploads/2024/10/NANDA-GHOSHER-KARCHA.pdf