সোহম সেন
মোহনবাগানের পরবর্তী সভাপতি কে? নামটা এখনই লিখে দেওয়া যায়, টুটু বসু। কিন্তু তিনি তো ক্লাবের নতুন সচিব। সভাপতি থেকে যদি সচিব হতে পারেন, তাহলে সচিব থেকে ফের সভাপতি হতে বাধা কোথায়?
অঙ্কটা পরিষ্কার, ছেলে সৃঞ্জয়কে সচিব পদে আনতে চান টুটু বসু। কিন্তু অঞ্জন মিত্র থাকতে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। সহ সচিব হয়েই থাকতে হচ্ছিল সৃঞ্জয়কে। যেভাবেই হোক, অঞ্জনকে সরাতে হত। অনেকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, অঞ্জন যেহেতু অসুস্থ, দৈনন্দিন কাজ করতে পারবেন না, অতএব তাঁকে সভাপতি হিসেবে পুনর্বাসন দেওয়া হোক। কিন্তু টুটু বাবু ক্লাবের সভাপতি পদেই থাকতে চান।
ভোটাভুটি হলে অঞ্জনের বিরুদ্ধে সৃঞ্জয় জিততে পারতেন কিনা সন্দেহ ছিল। তাই ছেলের বদলে নিজেই সচিব পদে প্রার্থী হয়ে গেলেন। সচিব পদে ভোটও হল না। পরাজয় নিশ্চিত জেনে অঞ্জন মিত্র নিজেই সরে দাঁড়ালেন। ফলে, টুটু বাবুর সচিব হতে আর কোনও বাধা রইল না। কর্মসমিতিতে বড় ব্যবধানে জয়ও এল। নিয়ম অনুযায়ী, কর্মসমিতি পরবর্তী সভাপতিকে বেছে নেয়। তাই পরে টুটু বসুর ফের সভাপতি হতে কোনও বাধা নেই। তবে আপাতত তিনি সরকারিভাবে সচিব রইলেন, ছেলে রইলেন সহ সচিব হিসেবে। টুটু বাবু ব্যবসার কাজে বেশিরভাগ সময়েই কাটান দেশের বাইরে। বকলমে ছেলেই চালাবেন মোহনবাগান। আপাতত সভাপতি হিসেবে বাছা হল গীতানাথ গাঙ্গুলিকে। এমনিতেই বয়স্ক মানুষ। সম্মান পেয়েই আপ্লুত। কোনও কাজেই তেমন বাগড়া দেবেন বলে মনে হয় না। বয়স বাড়বে, অসুস্থতা বাড়বে। তখন তাঁকে সরিয়ে আবার টুটু বসু ফিরে আসতেই পারেন। ততদিনে সৃঞ্জয়ও আরও কিছুটা পরিণত হয়ে যাবেন। সহ সচিব থেকে সচিব পদে উত্তরণ ঘটে যাবে।
অর্থাৎ, গীতানাথ গাঙ্গুলির ভূমিকা অনেকটা ভরতের মতোই। তাঁকে আপাতত সিংহাসনে খড়ম পাহারা দিতে হবে। আবার যেদিন টুটু বাবুর সভাপতি হওয়ার ইচ্ছে হবে, নিঃশব্দে সরে দাঁড়াতে হবে।