একসময় এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে বৃন্দা কারাতকে। ইয়েচুরিকে পাঠানো হয়েছে দুবার। এবার এই রাজ্যের কাউকে কেরল থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হোক। এখন থেকেই এই দাবি তুলুক আলিমুদ্দিন। লিখেছেন সরল বিশ্বাস।।
এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় কে যাবেন? ছবিটা এখনও পরিষ্কার নয়। বিধানসভায় বামেদের যা সংখ্যা, তাতে নিজেদের জোরে কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানোও যাবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে কংগ্রেসের অনুগ্রহের দিকে। কংগ্রেস আগের দুবার আসন ছাড়ার জন্য তৈরি ছিল। কিন্তু দুবারই গড়িমসি করেছেন বাম নেতৃত্ব। এবারও হয়ত সেই গড়িমসিই দেখা যাবে। লোকসভায় এই রাজ্য থেকে বামেদের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। রাজ্যসভাতেও থাকবে না?
তাহলে উপায় কী? আমার ক্ষুদ্র মাথায় একটা পরিকল্পনা এসেছে। বাম নেতৃত্ব ভেবে দেখতে পারেন। একসময় আমাদের রাজ্য থেকে আমরা বৃন্দা কারাতকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি। সীতারাম ইয়েচুরিকে দুবার পাঠিয়েছি। আমাদের রাজ্যে কি যোগ্য নেতা ছিলেন না? ছিলেন। তা সত্বেও আমরা উদারতা দেখিয়েছি। এখন আমাদের বিধায়ক সংখ্যা কম। রাজ্যসভায় কাউকে পাঠানোর উপায় নেই।
তাই কেরলের কাছে রাজ্যসভা আসন চাওয়া হোক। এখন কেরলে বামেদের সরকার ফিরে এসেছে। রাজ্যসভায় কাউকে পাঠাতে সমস্যা নেই। সেখানে লোকসভায় আশানুরূপ ফল হয়নি। কিন্তু বিধানসভায় তো সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই রাজ্যসভায় পাঠাতে সমস্যা থাকার কথা নয়। সেই রাজ্য থেকে নিশ্চয় কেউ যাবেন। পাশাপাশি দাবি তোলা হোক, এই বাংলার কোনও নেতাকে কেরল থেকে নির্বাচিত করা হোক। কেরলে সরকার আছে। অনেক বিধায়ক, মন্ত্রী আছেন। মোদ্দা কথা, গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবারই পুনর্বাসন হয়ে গিয়েছে। তাহলে বাংলার জন্য একটা আসন ছাড়তে আপত্তি কোথায়?
আগেরবারই এই দাবি তোলা উচিত ছিল। বাংলা থেকে দাবি তোলা হল, আর কেরল একবাক্যে মেনে নিল, এমনটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবু দাবিটা জানাতে আপত্তি কোথায়? এবার দাবি জানালে হয়ত পরেরবার শোনা হবে। এবার মানা হবে না জেনেই, দাবিটা না হয় এখন থেকেই তোলা হোক।।