‌সহযোদ্ধা পিতাকে পুত্রের কুর্নিশ

আজকে যখন কয়েকজন ছোকরা মনে করেছিল কিছু গুলি ছুঁড়ে তোমায় আঁটকে দেবে, ভেবেছিল তুমি দমে যাবে, ভয় পেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেবে পার্টি অফিসের বন্ধ ঘরে….
তখন তুমি শান্ত চিত্তে, শানিত নজরে, স্বভাবগত দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছো বন্দুকধারীদের দিকে। কোনও সিকিউরিটি নয়, কোনও বাহিনী নয়, একা এগিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছো ঘাতকদের দিকে, ‘‌সাহস থাকলে মার গুলি দেখি!’‌

selim
আব্বু, ছেলে হিসেবে ভয় হয়, চিন্তা হয়। কিন্তু ওরা জানে না যা আমি জানি যে, তোমায় খুঁজে বার করেছিলেন প্রবাদপ্রতিম নেতা মহম্মদ ইসমাইল। সেই মহম্মদ ইসমাইল যিনি ‘‌ডাইরেক্ট অ্যাক্শন ডে’‌ তে ট্রামশ্রমিকদের নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সুহারাওয়ার্দির বাহিনীর বিরুদ্ধে, তলোয়ারধারী দাঙ্গাবাজদের কেবলমাত্র লাঠিসোঁটা দিয়ে মহড়া নিয়েছিলেন ভিক্টরিয়া কলেজের গেটের সামনে। সেই মহম্মদ ইসমাইলের ঐতিহ্য, মতবাদ আর মানসিকতা যে আজও বেঁচে আছে, ওয়াটগঞ্জের ১৪ নং বস্তির ছেলেটিকে কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো সপেঁ যে তিনি কিছুটা হলেও এগিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার মাটিতে লাল ঝান্ডার ইতিহাস….
তা আজ আমরা দেখলাম, শিখলাম, সমৃদ্ধ হলাম।
লাল সেলাম আব্বু।
লাল সেলাম।
(‌সংগৃহীত : কমরেড রাসেল আজিজ)‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.