এভাবে ধরে বেঁধে বিয়ে!‌ টিকলে হয়

সোহম সেন

কোর্টের আদেশ। অতএব, বিয়ে হয়ে গেল সৌম্যজিৎ ঘোষের। কয়েকদিন আগেও নানা ধারায় মামলা করা হয়েছিল পাত্রের নামে। পাত্র যেন কমনওয়েলথে না যেতে পারে। পাত্রের কেরিয়ার যেন শেষ হয়ে যায়, চেষ্টার কোনও কসুর করেননি মেয়ের বাড়ির লোকেরা। আজ হঠাৎ তাঁরা শুভাকাঙ্খী। মেয়েকে তুলে দিলেন সেই পাত্রের হাতেই।
আইন সত্যিই বড় একপেশে। সে মেয়ের হয়েই যেন বেশি কথা বলে। দুজন স্বেচ্ছায় মিলিত হয়েছেন। দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটিয়েছেন। ছেলের ফ্ল্যাটে মেয়ে দিনের পর দিন থাকছে, তাতে বাড়ির লোকের কোনও আপত্তি নেই। তাঁরা বেশ প্রশ্রয়ের চোখেই দেখছিলেন। হঠাৎ, যেন ঝগড়া শুরু, অমনি ধর্ষণের মামলা। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধর্ষণ করা যায়!‌ ঝগড়া হতেই পারে। তাই বলে ছেলেকে ধর্ষক সাজিয়ে দিতে হবে?‌ ছেলেকে যতভাবে হেনস্থা করা যায়, সেটাই করা হল। এমনই অবস্থা, গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় অলিম্পিয়ান সৌম্যজিৎ দেশেই ফিরলেন না।

soumyajit ghosh
এখন তিনি যে বিয়ের সম্মতি দিয়েছেন, তা কিছুটা বাধ্য হয়েই। যে মেয়ে এবং তার পরিবার তাঁর জীবনে এতবড় আঘাত উপহার দিল, তার সঙ্গে একসঙ্গে সংসার করা সম্ভব?‌ আগে যদি ভালবাসা তৈরি হয়েও থাকে, এত কাণ্ডের পর সেই ভালবাসা আর থাকবে?‌ মেয়ের পরিবারের প্রতি সেই শ্রদ্ধা থাকবে?‌ সৌম্যজিৎ বা তাঁর পরিবার না হয় বাধ্য হয়ে বিয়েতে মত দিয়েছেন। কিন্তু মেয়ের পরিবার কেন রাজি হল?‌ কয়েকদিন আগেও যাঁকে ধর্ষণকারী বলে মামলা করা হয়েছিল, মিডিয়ার সমানে এভাবে অপদস্থ করা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে তাঁরা রাজি হলেন কেন?‌
এখনই বলে দেওয়া যায়, এই বিয়ে টিকবে না। টিকতে পারে না। কয়েকদিন সেলফি তোলা, ঘোরাঘুরি করা, ফেসবুকে ছবি দেওয়া— এসব থাকবে। মোহ কেটে যেতে সময় লাগবে না। যে বিয়ে কার্যত কোর্টের নির্দেশে হয়, সেই বিয়ে টিকতে পারে না। আবার হয়ত সৌম্যজিতের নামে নতুন কোনও মামলা হবে। মোদ্দা কথা, এই বিয়ে ভাঙতে বাধ্য।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.