রায়গঞ্জের সেই প্রিসাইডিং অফিসার খুন হয়েছেন না আত্মহত্যা করেছেন? যদি আত্মহত্যা হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী আগ বাড়িয়ে পাঁচ লাখা টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন কেন? এ তো আত্মহত্যায় উৎসাহ দেওয়া। আর যদি খুন হয়, তাহলে খুনিকে না ধরে প্রতিবাদী শিক্ষকদের হেনস্থা কেন? লিখেছেন সরল বিশ্বাস।।
আরও এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হল রায়গঞ্জে। অবিযোগ, তিনি নাকি এসডিও নিগ্রহ কাণ্ডে জড়িত। এখানেই শেষ নয়। সাতশো শিক্ষকের মাইনে বন্ধ করে দেওয়া হল। তাঁদের বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ। সত্যিই, পুলিশ চাইলে কী না পারে! প্রশাসন চাইলে কতকিছুই না করতে পারে! কত তৎপরতা!
অথচ, রাজকুমার রায় কেন ও কীভাবে মারা গেলেন, সেটা আজও জানা গেল না। দুটি সম্ভাবনা। এক, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। দুই, তিনি খুন হয়েছেন।
ধরে নিলাম, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
১) তাহলে মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন কেন? শুধু ঘোষণা করেই ক্ষান্ত রইলেন না। প্রশাসনের লোক মারফত বাড়িতে চেক পৌঁছেও গেল।
২) একজন আত্মহত্যাকারীকে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে কেন?
৩) তার মানে আত্মহত্যা করলে টাকা পাওয়া যায়, পরিবারের লোক চাকরি পায়। এটা যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তাহলে আরও অনেকেই তো হতাশ হয়ে এই পছে পা বাড়াবেন।
৪) সেক্ষেত্রে আত্মহত্যায় প্ররোচনা কে দিল? সরকার কি আত্মহত্যাকে উৎসাহিত করতে চায়?
ধরে নিলাম, তিনি খুন হয়েছেন।
১) এখনও সন্ধান পাওয়া গেল না কারা খুনি?
২) খুন যদি হয়, তাহলে এসডিও গিয়ে আগ বাড়িয়ে আত্মহত্যা বলতে গেলেন কেন? সবার আগে তো তাঁকে শোকজ বা সাসপেন্ড করা উচিত।
৩) খুনকে যদি আত্মহত্যা বলে চালানো হয়, তার মানে তো এসডিও কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। কাদের আড়াল করতে চাইলেন, সেটাও তো জানা দরকার।
৪) খুন যদি হয়, সেক্ষেত্রে সতীর্থ শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাবেন না? তাঁদের চিহ্নিত করে মাইনে আটকে দিতে হবে? যাঁরা এত কষ্ট করে সাতশো শিক্ষককে চিহ্নিত করলেন, তাঁরা একটু কষ্ট করে খুনিকে খুঁজে বের করুন।