রাজ্যসভায় কাকে জেতালেন, এবার বুঝলেন তো!‌

রক্তিম মিত্র

সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি। আর কংগ্রেস যাচ্ছে হাইকোর্টে। দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুষ্ঠু মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করাতে হবে।

যথারীতি এর বিরুদ্ধে নামবে রাজ্য সরকার। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে, এই রাজ্যে অবাধ গণতন্ত্র, বিরোধীদের দারুণ স্বাধীনতা। ভোট করাতে রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট।

চোখের সামনে টিভিতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে শাসক দলের গুন্ডারা। যেটুকু উঠে আসছে, তা এক শতাংশও নয়। গ্রাম গ্রামাঞ্চলের আসল ছবিটা বেরিয়ে আসা সম্ভবই নয়। অধিকাংশ জায়গায় মিডিয়াকেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রাণ ভয়ে তারাও ঢুকতে পারছে না। ছবি তুললেও ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

nomination

আর বিকেল হলেই মন্ত্রীদের মিথ্যের বেসাতি। মন্ত্রীরাও যে এমন ঢাঁহা মিথ্যে বলতে পারেন, সত্যিই ভাবতে কষ্ট হয়। এরপরেও সাফাই দিয়ে যাচ্ছেন, কিছুই হয়নি, সব বিরোধীদের চক্রান্ত। বিরোধীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব। বোঝাই যাচ্ছে, উন্নয়নের ওপর নিজেদের কোনও আস্থা নেই। লেঠেলবাহিনীই একমাত্র ভরসা।

যেভাবেই হোক, বাহিনী আটকাতে হবে। তার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করতে হবে। আর রাজ্য সরকারের হয়ে এই লড়াই করছেন কে?‌ কদিন আগেই যাঁকে ঘটা করে এই রাজ্য থেকে পাঠানো হল, সেই অভিষেক মনু সিংভি। একদিকে অধীর চৌধুরি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে মামলা করছেন। অন্যদিকে তার উল্টো সুর শোনা যাবে অভিষেক মনু সিংভির মুখে।

abhishek manu singbhi

এরপর বুঝতে পারছেন তো, এই রাজ্য থেকে কাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হল!‌ অধীরবাবু, মান্নান সাহেবরা একটু ভাবুন।

বামেরাও ভাবুন। কারণ, তাঁদের গড়িমসির জন্যই এরকম একটি লোক বিরোধীদের হয়ে রাজ্যসভায় গেল।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *