স্মার্টফোন অনেকেরই থাকে। থাকাটা অন্যায় নয়। কিন্তু যাঁরা সবসময় সেই ফোনে মুখ গুঁজেই আছেন, তাঁরা কি সত্যিই খুব স্মার্ট? বিদেশি গবেষণা কিন্তু অন্য কথা বলছে। সেই গবেষণার হদিশ দিলেন প্রসূন মিত্র।।
স্মার্ট মানে চালাক। কিন্তু যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে তাঁদের অধিকাংশই আনস্মার্ট অর্থাৎ বোকা। বিদেশের তিনটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা থেকে এমনই তথ্য জানা যাচ্ছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা সমীক্ষা চালালেও ফলাফল মোটামুটি এক। তার সারকথা হল, যে যত বড় হাঁদা গঙ্গারাম সে তত বেশি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে।
তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে Rice University যৌথভাবে সমীক্ষা চালিয়েছিল US Airforce এর সঙ্গে। সমীক্ষায় জানা গেছে, স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীরা বুদ্ধির দিক থেকে পুরোপুরি যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাঁদের ধারনা ফোন তাঁদের সব কিছু বলে দেবে। তারা এতটাই বোকা যে মানচিত্র দেখে কোন জায়গা চিনতে পারেন না।
University of Waterlooর সমীক্ষাতেও একই ফলাফল দেখা গেছে। তারা ৬৬০ জন স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীর ওপর পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে এসেছে, যারা দিনরাত মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁদের জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের থেকে কম।
এর বিষময় উঠে এসেছে Psychology Today পত্রিকায়। মনস্তত্ত্বের বিখ্যাত এই পত্রিকা স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের কিছু প্রশ্ন করেছিল। কিন্তু প্রশ্নোত্তরের আগে তাঁদের হাত থেকে ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পত্রিকাটি জানাচ্ছে, এই ব্যক্তিরা এতটাই বোকা যে, “কোন দুটি সংখ্যা যোগ করলে ৩ হয়?” এই সহজ প্রশ্নের উত্তরও মবাইলের সাহায্য ছাড়া দিতে পারেননি।
University of Essex এর সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীরা মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। মার্কিন গবেষক David Wygnat এর মতে , মানুষের বাস্তববোধ বৃদ্ধি পায় অভিজ্ঞতা থেকে। যে যত বেশি মানুষের সঙ্গে মেশে তার অভিজ্ঞতা তত বেশি। স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের এই অভিজ্ঞতা একেবারেই কম। কারণ ফোন নিয়ে ব্যস্ত
থাকার ফলে তারা কারো সাথে মেশার সময় পান না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পৈতে দেখে যেমন বামুন চেনা যায়, তেমনই দিনরাত স্মার্ট ফোনে মুখ গুঁজে থাকা ব্যক্তিকে খুব সহজেই গবেট বলে চিনে নেওয়া যায়।