ভাষণে ঝড়, হাততালিতেও ঝড় তুললেন সেলিম

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ রবিবাসরীয় ব্রিগেডের সেরা বক্তা কে? বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে, সবথেকে বেশি হাততালি যদি মাপকাঠি হয়, তাহলে অনেক এগিয়ে রইলেন মহম্মদ সেলিম।
ব্রিগেড ইনিংসে তিনিই ছিলেন সবথেকে ঝড়-তোলা ব্যাটসম্যান। অন্যান্যবার হিন্দিতে বলতে শোনা যায়। মূলত হিন্দিভাষী ও সংখ্যালঘু মানুষদের কথা ভেবেই বক্তার তালিকায় তাঁর নাম রাখা হত। কিন্তু রবিবার ছবিটা যেন অন্যরকম। সবথেকে ধারালো আক্রমণের দায়িত্বটা যেন তাঁকেই দেওয়া হয়েছিল।

selim2

শুরু করলেন বাংলায়, বেশিরভাগ অংশটাই বললেই বাংলায়। তারপর গেলেন হিন্দিতে। কখনও চড়া সুর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, আবার কখনও সুর চড়ালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কখনও উঠল হাসির রোল, আবার কখনও ছাড়লেন হুঙ্কার। শুরুতেই জানিয়ে দিলেন, আমরা এখানে শক্তি দেখাতে আসিনি। আমরা এসেছি জল্হাদদের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে।’
কখনও কাইফি আজমির উর্দি শায়েরি, কখনও সাম্প্রতিক ছবি দিলওয়ালের গানের লাইন, রঙ দে মোহে গেরুয়া। টেনে আনলেন সারদার কথা, ‘মদন জেলে গেছে, মুকুল যাবে, পিসি-ভাইপোকে নিয়েও টানাটানি পড়ে যাবে।’ চা বাগানে অনাহারে মৃত্যুর কথা দিয়েই শুরু হল, ‘একের পর এক বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনাহারে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী পোস্টার লাগাচ্ছে, পাহাড় হাসছে। খোদ তৃণমূলের এম পি কেডি সিংয়ের বাগানের শ্রমিকরা মাইনে পাচ্ছে না।’
সংখ্যালঘু উন্নয়নে এই সরকারের ভূমিকা কী, তা নিয়েও সোচ্চার। পাশাপাশি, শিল্পায়ন নিয়েও একহাত নিলেন রাজ্য সরকারকে। যত আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছেন, ততই ঝড় উঠেছে হাততালির।
সবথেকে বেশি সময় তিনিই বললেন। বিষয়টাকে পরিকল্পনার অঙ্গ বলেই মনে করছেন অনেকে। ভাষণ শেষ হতেই তাঁকে কাছে ডেকে অভিনন্দন জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি। সমর্থকরাও মনে করছেন, ইচ্ছে করেই সেলিমকে দিয়ে ঝড় তোলানো হল। তাহলে কি অন্য কোনও ইঙ্গিত ? তাঁকেই তুলে ধরার পথে একধাপ এগোলো সিপিএম ? ব্রিগেড থেকে এমন জল্পনা আরও ডালপালা ছড়াবে। প্লেনামে কি এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে? এই প্রশ্নটাও উঠে গেল।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *