স্মৃতিটুকু থাক
আমি তখন ক্লাস নাইনের ছাত্র। ফুটবলের অন্ধ ভক্ত। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, কৃশানু দে–র ভক্ত। ডিফেন্স চেরা সেই থ্রু, আহা অসাধারণ। ওই একটা ঠিকানা লেখা পাস দেখার জন্য রাতের পর রাত জাগা যায়। বন্ধুদের বলতাম, এ হল ভারতের মারাদোনা। পরে দেখলাম, কাগজেও তাই লেখা হচ্ছে।
আমরা ঘটি। কিন্তু শুধু কৃশানুর জন্যই কেন জানি না ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক হয়ে গেলাম। একদিন ময়দান চত্বরে দেখলাম, রাস্তা দিয়ে কৃশানু হেঁটে যাচ্ছেন। কথা বলব কিনা ভাবছিলাম। সাহস পাচ্ছিলাম না। ফ্যালফ্যাল করে তাঁর দিকে তাকিয়েছিলাম। উনি বুঝতে পেরে বললেন, কিছু বলবে? আমি বোকার মতো প্রশ্ন করলাম, আপনি তো কৃশানু দে! উনি বললেন, কেন, কোনও সন্দেহ আছে!
বললাম, আমি আপনার ফ্যান। উনি হেঁসে বললেন, এমন ফ্যান যে চিনতেই পারছিলে না! আমি বললাম, না, মানে আপনাকে চোখের সামনে দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
উনি বিশ্বাস করলেন। একটা বইয়ের পাতায় বেশ কয়েকটা সই দিয়েছিলেন। আরও একবার দেখা হয়েছিল। অনেক লোকের মাঝেও উনি ঠিক চিনতে পেরেছিলেন। সেই কৃশানুর মৃত্যুতে আমিও হাউ হাউ করে কেঁদেছিলাম। তাঁর মৃত্যুর চোদ্দ বছর পরে সেই শিল্পী ফুটবলারের মুখটা বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে।
দিব্যেন্দু দে, বুনিয়াদপুর
(এই বিভাগ কিন্তু একান্তই পাঠকদের জন্য। আপনারাও লিখে পাঠান আপনাদের অনুভূতি। বিশেষ কারও কথা মনে পড়ছে? অতীতের কোনও কাজের জন্য ভুলস্বীকার করতে ইচ্ছে করছে? বলে ফেলুন। দেখুন, অনেক হালকা লাগবে। লেখা পাঠানোর ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)