অজয় নন্দী
দুই ক্লাবের কর্তাদের যত দেখি, তত অবাক হই। একসময় কারা ছিলেন এইসব ক্লাবের দায়িত্বে? আর আজ কারা? একসময় মোহনবাগানের ফুটবল সচিব ছিলেন শৈলেন মান্না। আর আজ সেই দায়িত্বে কিনা বাবুন ব্যানার্জি। যাঁর একমাত্র পরিচয় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। আর একমাত্র কাজ হল ক্যামেরা দেখলেই সেলিব্রিটির পাশে দাঁড়িয়ে যাওয়া। মুখ বাড়িয়ে দেওয়া।
অবশ্য বাগান সচিবও হয়েছেন তেমনই। চিরকাল মুখ বাড়িয়ে এসেছেন। গাজোয়ারি বিবৃতি দিয়ে কাগজে নাম তুলেছেন। এখন সচিব হওয়ার পরেও সেই অভ্যাসটা ছাড়তে পারছেন না। প্রচারে থাকার জন্য এখনও সেই আগের মতোই ছেলেমানুষি করে চলেছেন। মোহনবাগান সচিব পদটার যে একটা ওজন আছে, সেটা বোঝেনও না। ইস্টবেঙ্গলও তাই। এখানে অবশ্য সভাপতি বা সচিব পদটা নাম কে ওয়াস্তে। গোটা ক্লাবটাই বিশেষ একজন চালান। তাঁরও কীর্তির শেষ নেই।
কেন সমর্থকরা টিকিট পাচ্ছেন না, তা নিয়ে এই দুই কর্তার কার্যত কিছুই করার নেই। আসল টিকিট কোথায় গেছে, বিলক্ষণ জানেন। কিন্তু জানলেও বলতে পারছেন না। বলার মুরোদ নেই। তাই কখনও ‘ডুরান্ড কমিটি’র নাম হাওয়ায় ভাসাচ্ছেন। আর কখনও উল্টোপাল্টা ইস্যু তুলে বাজার গরম করতে চাইছেন। রেফারিং নিয়ে আগেই হাওয়া তুলে দিলেন লাল হলুদ কর্তা। ব্যাস, বাগান সচিবও নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে আসরে নেমে পড়লেন। কাগজে নিজের নাম ছাপানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেন। ডার্বির আগে অহেতুক সমর্থকদের উস্কে দিলেন। কখন কোন কথা বলতে হয়, কখন কোনটা বলতে নেই, এদের কে শেখাবে!
ইস্টবেঙ্গল টানা আট ডার্বিতে হেরেছে। একটা জিততে না জিততেই লাল হলুদ কর্তা প্ররোচনা তৈরি করতে বাজারে হাজির। শুধু শুধু হাওয়া গরম করতে চাইছেন। কে শুনতে চায় আপনাদের এই প্ররোচনা। কে জানতে চায় আপনাদের এই বিবৃতির যুদ্ধ! হ্যাংলামি করার, ছ্যাবলামি করার সুযোগ সারা বছর পাবেন। ডার্বির আগুন নিয়ে খেলতে যাবেন না। যদি হিম্মৎ থাকে, প্রশ্ন তুলুন, এত টিকিট কোথায় গেল? যদি এই সামান্য প্রশ্নটুকুও না তুলতে পারেন, তাহলে ঘরে খিল দিয়ে থাকুন। কোনও বিবৃতি দিতে আসবেন না।