রক্তিম মিত্র
সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে তিনি বার্তা দিলেন। এক লম্বা টুইট। যার মোদ্দা কথা ইডি–র অফিসাররা অযোগ্য।
হ্যাঁ, এতদিনে একটা খাঁটি কথা বলেছেন। সত্যিই অযোগ্য। তাই তিনি এখনও নাগালের বাইরে। তাই তিনি এখনও লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন।
কয়লা, গরু, বালি এসব দুর্নীতির কথা ছেড়েই দিলাম। সবাই জানে, শিক্ষা দুর্নীতির আসল মাথা কে? এরপরেও তদন্তের নামে এসব কী হচ্ছে? যে তদন্ত করতে সাতদিনও লাগে না, বছর গড়িয়ে গেলেও তার কোনও অগ্রগতি নেই! কয়েকটা চুনোপুঁটি এজেন্ট আর হুকুম তামিল করা কিছু পেটোয়া অফিসার। এর বাইরে এগোতেই পারল না ইডি!
মানছি, যিনি আসল মাথা, তিনি গভীর জলের মাছ। তিনি এত কাঁচা কাজ করেননি। আটঘাট বেঁধেই কারচুপি করেছেন। তাঁকে বুদ্ধি দেওয়ার অনেক লোক। তাঁর হয়ে প্রমাণ লোপাট করারও অনেক লোক। কিন্তু তারপরেও আম পাবলিক জানে, কে আসল নাটের গুরু। কয়েক হাজার কোটি টাকার অধিকাংশ কার পকেটে গেছে। সবাই জানে, শুধু ইডি–সিবিআই জানে না।
না, এই অফিসারদের যোগ্যতা বা দক্ষতা নিয়ে সত্যিই কোনও সন্দেহ নেই। যেটা সামনে এসেছে, সেটাও তো কম নয়। এটুকুও জানা যেত না। হাইকোর্টের লাগাতার তদারকি আর মাঝে মাঝেই ভর্ৎসনার জন্য কিছুটা সামনে আনতে হয়েছে। কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা একদিনে জানা যায়, এই বীরপুঙ্গবের ক্ষেত্রে সেটা এক বছরেও জানা যায় না!
আসলে, এই বীরপুঙ্গব কোনও একটা জায়গা থেকে নিশ্চিত আশ্বাস পেয়েছেন। তিনি জানেন, একে–তাকে ধরা হবে। কিন্তু তাঁর কাছ পর্যন্ত সেভাবে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে না। সেই কারণেই মাঝে মাঝে হুঙ্কার দিতে পারেন।
মাঝে মাঝেই মনে হয়, তিনি এত সাহস পাচ্ছেন কোথায়? তাঁর অপরাধ সামনে আসবে না, এমন দুর্মর আত্মবিশ্বাসের উৎসটা কী? এর পরেও কি ইডি বা সিবিআই গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে না? দুটো সরকারি এজেন্সির সম্মানকে এই অফিসাররা কোথায় নামাচ্ছেন। কারা আড়াল করছেন এই নাটের গুরুকে? এরপরেও বুঝতে বাকি থাকে?