চাঁদে গিয়েছিলেন!‌ ইয়ার্কি হচ্ছে!‌

আবার নাকি চাঁদে লোক পাঠাচ্ছে নাসা। এবার আর একজন নয়, যাবেন চারজন। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে নাকি চাঁদে পৌঁছেছিলেন নিল আমস্ট্রং। ছোট থেকে ইতিহাসে আমরা সবাই এমনটাই পড়ে এসেছি। কিন্তু নন্দ ঘোষ বললেন, কভি নেহি। আমস্ট্রং মোটেই চাঁদে যাননি। এবার নন্দ ঘোষের কড়চায় একহাত নিলেন আমস্ট্রংবাবুকে।

ছোট থেকেই মশাই ভুল ইতিহাস পড়ে আসছি। শুধু ইতিহাসই বা বলি কী করে? ভূগোল, বিজ্ঞান সব কিছুতেই গোঁজামিল। ছোট থেকেই শুনছি, নিল আমস্ট্রং নাকি চাঁদে গিয়েছিলেন। সঙ্গে নাকি ছিলেন এডুইন অলড্রিন। তখন ছোট ছিলাম, যে যা বুঝিয়েছে, তাই বুঝেছি। এখন বুঝি, কতবড় গাঁজাখুরি ব্যাপার মাথায় ঢোকানো হয়েছিল।

এখন বুঝি, পুরোটাই ভাঁওতা। একসঙ্গে অনেকের ওপর রাগ হচ্ছে। ব্যাটা নিল আমস্ট্রং, আমাদের চোখে হিরো ছিল। সে কিনা এত বড় একটা বুজরুকি করল? চাঁদে না গিয়েই বলে দিল চাঁদে গিয়েছি? একগুচ্ছ বানানো ছবি বাজারে ছেড়ে দিল?

ডন ব্র‌্যাডম্যানের কথা তো ছেড়েই দিলাম। সুনীল গাভাসকার, শচীন তেন্ডুলকাররাও একবার ২০০ করার পর আবার করেছে। তেনজিং নোরগে একবার এভারেস্টে যাওয়ার পর আরও একবার গিয়েছিল। তাঁর ছেলেও গিয়ে ঘুরে এসেছে। আমস্ট্রং ভাই আর গেলেন না কেন? ওই অভিযানের পরেও আরও অন্তত ৪০ বছর বেঁচেছিলেন। এমন একজন মানুষের তো কিংবদন্তি হয়ে ওঠার কথা। কই, তাঁকে নিয়ে আর তেমন মাতামাতি তো হয়নি। এমনকী মারা যাওয়ার পর সেই খবরটাও কাগজে প্রায় লুকিয়ে ছাপতে হয়েছে।

ব্যাটা আমেরিকা। তারাও প্রচার করে বেড়ালো, তারা নাকি চাঁদে লোক পাঠিয়েছে। গুলতানি মারার জায়গা পাওনি ? এতই যদি মুরোদ, তাহলে ১৯৬৯ এর পর থেকে আর পাঠাতে পারলে না কেন? পৃথিবী এত এগিয়ে গেল, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এত এগিয়ে গেল, কই আর তো পাঠাতে পারলে না? আরেকবার জো বাইডেনকে পাঠাও দেখি, তাহলে বুঝব তোমাদের মুরোদ কত।

নাসা। সে নাকি বিজ্ঞানের বাইবেল। সে ব্যাটারাও কিনা গুলবাজ! তখন থেকেই নাশা যেন নেশায় আক্রান্ত। গাঁজা খেয়ে কী সব তত্ব হাজির করেছিল। আমরা সব উজবুক। যেন কিছুই বুঝি না। যা, আরেকবার যা দেখি, তাহলে বুঝব। শুনছি, আবার নাকি ৪ জনকে পাঠানো হবে। আচ্ছা, নাসায় কি ইলেকশন হয়!‌ নইলে, এমন প্রতিশ্রুতির বহর কেন?‌ আগে পাঠা, তারপর বাতেলা দিবি?‌

আমাদের রাজ্যের সিপিএম। কথায় কথায় এত আমেরিকা বিরোধীতা করে। আর আমেরিকা যে এতবড় ধাপ্পা দিল, তার বেলা নীরব। ৩৪ বছর ধরে সিলেবাসে এসব সাজিয়ে রেখেছিলে কেন বাপু? এমনিতে এত রাশিয়ার কথা শোনো। এই ব্যাপারটায় রাশিয়া বা চীনের কথা শুনলে না কেন? কেন আমেরিকার সুরে সুর মেলালে?

সিপিএম অবশ্য মাঝে মাঝেই ভুল স্বীকার করে। এবার স্বীকার করুক, চাঁদে মানুষ পাঠানোর মার্কিনি বুজরুকি প্রচার করা ঐতিহাসিক ভুল ছিল।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.