আর কেউ চাঁদে যেতে পারল না!‌

৫৩ বছর পেরিয়ে গেল। আর কেউ চাঁদে যেতে পারলেন না? নিল আমস্ট্রংরা কি সত্যিই চাঁদে গিয়েছিলেন? নাকি বানানো এক গল্প? স্রোতের বিপরীতে গিয়ে অন্য এক ব্যাখ্যা তুলে আনলেন শুভেন্দু মণ্ডল।।

আবার নাতি চাঁদে মানুষ যাবে। এবার আর দুজন নয়, একেবারে চারজন। নাসা নাকি এখন থেকেই উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু ১৯৬৯ এ মানুষ চাঁদে গিয়েছিল বলে যে প্রচার, তা কতটা মিথ, কতটা মিথ্যে?‌ এই নিয়ে নানা মত চালু আছে। একটা মার্কিন মত, একটা বাকি পৃথিবীর মত। ইন্টারনেট মারফত কিছুটা পড়াশোনা করা গেল। মনে হল, ভিন্নমতটাও তুলে ধরা জরুরি।

এত দিনের পুষে রাখা ধারণাগুলো কেমন যেন বদলে যাচ্ছে। আগে শুনতাম, ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো, এমনকি ভলকানোর কথা। এখন জানছি, ভলকানো তো দূরের কথা, প্লুটোও নাকি কোনও গ্রহ নয়।

ছোট বেলা থেকেই পড়ে আসছি, নিল আর্মস্ট্রং আর এডুইন অলড্রিন নাকি চাঁদে গিয়েছিলেন। ছোটবেলায় প্রচার ছিল রাকেশ শর্মাও নাকি চাঁদে গিয়েছিলেন। পরে জেনেছিলাম, চাঁদ নয়, আসলে তিনি মহাকাশে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিল আর্মস্ট্রংরা কি সত্যিই চাঁদে গিয়েছিলেন? তাই নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন মনের মধ্যে নাড়া দিচ্ছে। ইন্টারনেটে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম, সারা বিশ্বেই এই প্রশ্নগুলো আছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই নাকি আমেরিকার এই চাঁদে লোক পাঠানোর তত্ব মানতে পারেনি।

বিরুদ্ধ যুক্তিগুলো কিন্তু উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। এক দুটো এখানে তুলে ধরা যাক।

১) চাঁদে তো হাওয়া নেই। তাহলে আমেরিকার পতাকাটা উড়ছে কী করে ?

২) সূর্য ছাড়া অন্য কোনও আলোর উৎস তো নেই। তাহলে ছায়াগুলি একে অন্যকে ছেদ করছে কেন ? দুজন দাঁড়িয়ে থাকলে ছায়া তো সমান্তরাল হওয়ার কথা।

৩) উষ্ণ বলয় ভেদ করে এত নিরাপদে চাঁদে পৌঁছে গেল?

৪) চাঁদ তো হাতের সামনে নয়। চোদ্দ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার দূরে। এতদূর একটা যান চলে গেল, ফিরেও এল? কত জ্বালানি লাগে? সেই জ্বালানি একটা যানে থাকা সম্ভব ?

৫) এতদিন অক্সিজেন ছাড়া থাকা যায়? কতগুলো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যেতে হয়েছিল ?

৬) এখন তো প্রযুক্তি আরও অনেক উন্নত। তাহলে এই ৫৪ বছরে আর কেউ যেতে পারল না কেন?

৭) রাশিয়া, জাপান, চিন তো চেষ্টা করতে পারত। তারা কেউ চেষ্টা করল না কেন?

৮) আমেরিকা আদৌ চাঁদে লোক পাঠিয়েছিল কিনা, তা নিয়ে যখন এত সংশয়, তখন সেই সংশয় ভেঙে দিতে আমেরিকাই বা আবার চন্দ্র অভিযান করল না কেন?

৯) চাঁদে তোলা কোনও ছবিতেই কোনও তারা দেখা যাচ্ছে না কেন?

১০) এত গুরুত্বপূর্ণ অভিযান। তার টেলিমেট্রি ডাটা কোথায়? নাসার যুক্তি, সেটা নাকি হারিয়ে গেছে? এটা কখনও বিশ্বাসযোগ্য? সারা পৃথিবীতে আলোড়ন তোলা অভিযানের নথি কেউ হারিয়ে ফেলে ?

১১) শোনা যায়, এটি নাকি সুন্দরভাবে সাজানো একটি ভিডিও। কোনও এক মরু অঞ্চলে নাকি এর শুটিং হয়েছিল। পরিচালক ছিলেন হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক।

১২) বিল কেসিং। আমেরিকার রকেট প্রযুক্তির প্রবক্তা। তিনি ১৯৭৪ সালে একটি বই লেখেন। নির্যাস – আমেরিকার ৩০ বিলিয়ন ডলারের জোচ্চুরি। সেই বইয়ে তিনি পরিষ্কার উল্লেখ করেন, আমরা কখনই চাঁদে যাইনি। এটা বিশ্ববাসীর সঙ্গে একটা মস্তবড় প্রতারণা।

১৩) গাস গ্রিসাম নামে আরও এক নভোচারি ছিলেন। তিনি রহস্যনজকভাবে নিহত হন। অনেকে মনে করেন, তিনি এই প্রতারণার কথা জানিয়ে দিতেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

১৪) উন্নত দেশগুলির অনেকেই চাঁদে যাওয়ার মার্কিন তত্ত্ব বিশ্বাস করেনি। তাদের দেশের ইতিহাস বা ভূগোল বইয়ে এই সংক্রান্ত কোনও কথা নেই।

১৫) নিল আমস্ট্রং মারা গেলেন এক দশক আগে- ২০১২ সালে। এত বছর বেঁচে থাকার পরেও তিনি সারা বিশ্বে সেই কিংবদন্তির মর্যাদা পাননি। এমনকি আমেরিকাও প্রথমদিকে তাঁকে নিয়ে লাফালাফি করলেও পরের দিকে বিষয়টা অনেকটা চেপে গিয়েছিল।

এইসব নানা করণে প্রশ্ন উঠছে। আমাদের শিশুরা জানছে, চাঁদে মানুষ গিয়েছিল। কিন্তু এই যুক্তিগুলোও তো উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। প্রশ্নহীন আনুগত্য নিয়ে আমরা সবকিছু কেন মেনে নিচ্ছি? আমার মনে হয়, খোলা মনে সবকিছু আরও নতুন করে ভাবা দরকার। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কী বলছেন, সেই ব্যাখ্যাও শোনা দরকার।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.