যাক, এবার অন্তত বইমেলার দরজা খুলছে

ওপেন ফোরাম

সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল। তেমনি সব মেলার সেরা বোধ হয় বইমেলা। তার সঙ্গে বাণিজ্য মেলা, রথের মেলা, হস্তশিল্প মেলা— কোনও মেলারই বোধ হয় তুলনা হয় না। করোনা আবহে গতবছর বইমেলা হয়নি। এবারও হবে কিনা, খুব সংশয়ে ছিলাম। যাক, সরকারি ঘোষণায় কিছুটা নিশ্চিন্ত হওয়া গেল।

গত বছর পুজোর আগে প্রায় সবকিছুই আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। ট্রেন চলছিল, বাস চলছিল, জমজমাট পুজোও হয়েছে, সভা–‌সমিতি হয়েছে। শুধু শুধু কোপটা পড়েছিল বইমেলার ওপর। এ বছরও নির্বাচনী আবহে বড় বড় সভা হয়েছে। এমনকী ব্রিগেড সমাবেশও হয়েছে। তখনও দ্বিতীয় ঢেউ বলে কিছু আসেনি।

আর বইমেলা যখন হয়, অর্থাৎ জানুয়ারিতে তেমন কোনও আশঙ্কাই ছিল না। তারপরেও বইমেলাকে বাতিল করার কোনও অর্থই হয় না। গিল্ড কর্তারাও নিজেদের দাবিকে সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারেননি। তাঁরা বলতেই পারতন, যখন পুজো হচ্ছে, জনসভা হচ্ছে, সেখানে বইমেলা হলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যাবে?‌ কিন্তু যদি সরকার চটে যায়!‌ অতএব, পুরোটাই সরকারের ওপর ছেড়ে দাও।

জানি না, জানুয়ারি নাগাদ পরিস্থিতি কেমন থাকবে। যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে, অনায়াসের হতে পারে বইমেলা। করোনাকে ঘিরে আমাদের যত না সতর্কতা, আতঙ্ক বোধ হয় তার থেকে ঢের বেশি। সত্যিই কি এতখানি ভয় পাওয়ার কোনও কারণ আছে?‌

যাক, দেরিতে হলেও সরকারের শুভবুদ্ধি হয়েছে। এই বইমেলার সঙ্গে কত মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে, সেটা তাঁরাই বোঝেন, যাঁদের সঙ্গে সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের সম্পর্ক রয়েছে। সবকিছুই যখন এক এক করে খুলে যাচ্ছে, তখন বইমেলার দরজাও খুলে যাক।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.