হেমন্ত রায়
হঠাৎ, একটি ভিডিও ফুটেজ এসে গেল। মূলস্রোত মিডিয়া সেটি দেখাবে না। একটি মিডিয়া এক–দুবার দেখানোর পরেই গুরুত্ব বুঝে সরিয়ে দিল। আর দেখানো হচ্ছে না।
ভিডিওটি কী? সুব্রত মুখার্জির খুব ঘনিষ্ট এক অনুগামী মারাত্মক অভিযোগ আনলেন। তাঁর দাবি, সন্ধেবেলায় অনেক ডাকাডাকির পরেও উডবার্ন ওয়ার্ডে কোনও ডাক্তার পাওয়া যায়নি। সুব্রত মুখার্জি যখন ছটপট করছেন, তখন বারবার ডাক্তারদের খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি। শেষবেলায় কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার নাকি আসেন। বুকে পাম্প করেন। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। অর্থাৎ, মন্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু মৃত্যুর সময় তো দেখানো হয়েছে রাত নটা কুড়ি। সেই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ওটা সরকারিভাবে দেখানো হয়েছে। তার অনেক আগেই যা হওয়ার হয়ে গেছে।
নিঃসন্দেহে মারাত্মক অভিযোগ। যদি সত্যি হয়, তাহলে এই অভিযোগকে ঘিরে ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা। এই কর্মী আর যাই হোক, বিজেপির উস্কানিতে এমন কথা বলছেন না। সেই মুহূ্র্তে নিজের অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেছেন। কিন্তু তারপর এই অভিযোগ নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত হল না কেন? সত্যিই কি সেই সময় উডবার্ন ওয়ার্ডে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না?
উডবার্ন ওয়ার্ড ভিআইপি ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত। সেখানে ভর্তি ছিলেন সুব্রত মুখার্জির মতো বর্ষীয়ান মন্ত্রী। তারপরেও চিকিৎসকরা ওয়ার্ড ছেড়ে চলে গেলেন? কারও না কারও তো সেই সময় ডিউটি থাকার কথা। তাঁরা কোথায় ছিলেন? কাদের ভরসায় এত এত ভিআইপি রোগীরা রয়েছেন? একজন সিনিয়র মন্ত্রী যদি এই গাফিলতির শিকার হন, তাহলে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে কী হয়, সেটা আরও বড় প্রশ্ন।
এমন একটা মারাত্মক অভিযোগের কথা কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী জানেন? জানলে কী ব্যবস্থা নিলেন, দেখার অপেক্ষা রইল। নাকি তদন্ত করলে গেলে অনেক অপ্রিয় সত্যি উঠে আসবে? রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে আসবে।
নিচে সেই ভিডিওর লিঙ্ক দেওয়া হল। চাইলে যে কেউ দেখে নিতে পারেন।