প্রিয়র খোঁজে সোজা হাওড়া স্টেশন

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌
প্রিয়–‌সুব্রত জুটিকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে একটি রসিকতা চালু আছে। একদিন সুব্রতর কিছু টাকার দরকার। ফোন করলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে। কোনও ভনিতা না করে সোজাসুজি টাকার কথাই বললেন।

প্রিয় চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতেন। বলতেই পারতেন, সমস্যা আছে। তিনি তা না করে বলে ফেললে, কাল তো দিল্লি যাচ্ছি। তুই এয়ারপোর্টে চলে আয়। ওখানে নিয়ে নিবি।

সুব্রত যথারীতি হাজির। তবে এয়ারপোর্টে নয়। হাওড়া স্টেশনে। রাজধানী এক্সপ্রেসে এসে ঠিক খুঁজে নিলেন প্রিয়রঞ্জনকে। ট্রেনের কামরায় হঠাৎ সুব্রতকে দেখে প্রিয়র তো চোখ ছাড়াবড়া। আমতা আমতা করছেন। সুব্রত তাঁর পাশে বসে পড়লেন। বললেন, আপনি দিল্লি যাবেন, এটা জানতাম। কিন্তু আপনি যখনই বলেছেন, এয়ারপোর্টে আসতে, তখনই বুঝেছি আপনি ঠিক ট্রেনেই যাবেন। তাই হাওড়া স্টেশনেই চলে এলাম। আপনাকে আমার চেয়ে ভাল আর কে চেনে!‌

বেচারা প্রিয়। হাতে নাতে ধরা পড়ে গেলেন। কী আর করবেন। এটা–‌সেটা বলে প্রসঙ্গ ঘোরাতে চাইলেন। আর মানে মানে টাকা দিয়ে সুব্রতকে বিদেয় করলেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.