মারাদোনার সঙ্গে আমরাও যে কেঁদেছিলাম!‌

অভিজিৎ দে

‌ছিয়াশির বিশ্বকাপের সময় আমার বাড়িতে টিভি আসেনি। তাছাড়া, তখন বিশ্বকাপের উন্মাদনা বুঝতামও না। সে অর্থে বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে হাতেখড়ি নব্বই সালে।
প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়েছিল আর্জেটিনা। বেশ কষ্টই হয়েছিল। মনে আছে, ফ্রাঁসোয়া ওয়াম বিউইক বলে একজন গোল করেছিল। খুব রাগ হয়েছিল নেরি পম্পিদোর উপর। ওই গোল কেউ মিস করে!‌

maradona6
একসঙ্গে কত তারকাকে দেখলাম। কেউ মাঝপথেই বিদায় নিল। কেউ দারুণ খেলেও দলকে জেতাতে পারল না। সিলাচির মতো মিডিওকার এক প্লেয়ার কিনা একইসঙ্গে সোনার বল, সোনার বুট পেয়ে গেল!‌ সোনার বুটটা না হয় সর্বোচ্চ গোলদাতার জন্য। মেনে নিতেই হবে। তাই বলে সোনার বল!‌ এমন কী খেলেছিল!‌ সুযোগ সন্ধানী এক স্ট্রাইকার। এখান ওখান থেকে ছুটে এসে মাঝারিমানের কয়েকটা গোল করেছিল। তার জন্য বেস্ট প্লেয়ার!‌ মানতে পারিনি। যেমন মানতে পারিনি ফাইনালে আর্জেটিনার হেরে যাওয়া। আর দশজনের মতো আমিও তখন মারাদোনাকে মন সঁপে বসে আছি।

ফাইনালের সেই রাতটার কথা কখনই ভুলব না। একেবারে শেষপর্বে এসে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া হল। এডগার্ডো কোদেসাল লোকটাকে পেলে কী করতাম, কে জানে!‌ সেনসিনি, ভয়লার, ব্রেহমে নামগুলো এখনও ভুলতে পারি না। ভুলতে পারি না মারাদোনার সেই কান্না। সুদূর এই বাংলায় বসে আমরাও যে সেদিন কেঁদেছিলাম!‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.