বেশি ঝুলিয়ে রাখলে বাবুলের ‘‌দম বন্ধ’‌ হয়ে আসতে পারে

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌ অবশেষে বাবুল সুপ্রিয় পদত্যাগ করলেন। অবশেষেই বলতে হচ্ছে। কারণ, তৃণমূলের পতাকা ধরেছেন, প্রায় এক মাস হতে চলল।

বাবুল অবশ্য বলতেই পারেন, তিনি আগেই পদত্যাগ করতেন। কিন্তু লোকসভার স্পিকার সময় দিতে পারেননি। এটা ঘটনা, পদত্যাগ করার জন্য বাবুল দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন। তখন লোকসভার স্পিকার ছুটিতে ছিলেন। তিনি সময় দিতে পারেননি।

প্রশ্ন হল, স্পিকার মশাই কি এমন কাজে ব্যস্ত ছিলেন যে পাঁচ মিনিট সময় দিতে পারলেন না?‌ একজন দলবদল করেছেন, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চান। তাঁকে এভাবে ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয়?‌

পদত্যাগ করেই মোক্ষম প্রশ্ন তুলেছেন বাবুল। আমি তো না হয় পদত্যাগ করলাম, এবার শিশিরবাবু ও দিব্যেন্দু কবে পদত্যাগ করবেন?‌ সঙ্গত প্রশ্ন। এই প্রশ্ন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সত্যিই তো। নিজের বাবা, ভাই দলবদল করে পদত্যাগ করলেন না। অন্যদের পদত্যাগ চান কোন যুক্তিতে?‌

প্রশ্ন হল, এবার বাবুল কী করবেন?‌ কেউ কেউ বলছেন, আসানসোলের উপনির্বাচনে দাঁড়াবেন। কেউ বলছেন, রাজ্যের মন্ত্রী হবেন। প্রথমটার সম্ভাবনা কম। দু’‌বছর আগেও যিনি বিজেপির হয়ে তৃণমূলকে গালমন্দ করেছিলেন, দু’‌বছর পরেই সেই একই জায়গায় তিনি তৃণমূলের প্রার্থী। এতবড় ঝুঁকি বাবুল নেবেন?‌ যদি জিতেও যান। কী হবে?‌ তৃণমূলের একজন সাংসদ হবেন। শাসক দলের সাংসদ পদ ছেড়ে বিরোধী দলের সাংসদ হতে যাবেন?‌ একসময় ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। অঙ্কে এত কাঁচা বাবুল নন।

রাজ্যে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কিন্তু চারটি উপনির্বাচন হচ্ছে। কোথাও তো তাঁকে প্রার্থী করা হল না। আপাতত সামনে কোনও উপনির্বাচনও নেই। তাহলে কি আরও কারও মৃত্যুর জন্য বা কে কখন পদতাগ করবেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে?‌ রাজ্যসভার একটা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তার জন্যও অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। অনেকেই ইট পেতে রেখেছেন।

শেষমেশ কোথায় তাঁর পুনর্বাসন হবে, বলা মুশকিল। বাবুল নিজেও কি জানেন!‌ বেশিদিন ঝুলিয়ে রাখলে আবার ‘‌দম বন্ধ’‌ হয়ে আসতে পারে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.